স্টাফ রিপোর্টার (আশিক): ছোটকাল থেকেই জিমখানা বস্তিতে বড় হয়েছেন মনির হোসেন। চার ভাই দুই বোন ও বাবা মাকে নিয়েই তাদের একসাথে বসবাস ছিল। দীর্ঘ ৫০ বছর ধরেই তাদের এখানে বসবাস করে আসছিলেন। এর মধ্যেই জিমখানা বস্তি উচ্ছেদ হয়ে যায়। ফলে মনির হোসেন ৪ ভাই ও বোনেরা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন। ছড়িয়ে ছিটিয়ে একেক জন একেক জায়গায় বসবার করছেন।
মনির হোসেন বর্তমানে তার দুই ছেলে ও দুই মেয়েকে নিয়ে বেপারীপাড়া এলাকায় বসবাস করেন। ভ্যানগাড়ি চালিয়েই তিনি জীবীকা নির্বাহ করেন। করতেন আওয়ামী লীগ। কিন্তু সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীর প্রতি রাগ করে এখন আর আওয়ামী লীগ করেন না।
এবারের সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনে তিনি আইভীর বিরুদ্ধে গিয়ে বিপরীত প্রার্থী তৈমূর আলম খন্দকারের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। তৈমূরকে ভালবাসে তিনি হাতি প্রতিক বানিয়েছেন। সেই হাতি তৈমূরকে উপহারও দিয়েছেন। তৈমূরও সেই হাতি প্রতিক পেয়ে অনেক খুশি হয়েছেন।
মনির হোসেন অভিযোগ করে বলেন, এদেশে রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর আমাদের জিমখান বস্তি যখন উচ্ছেদ করা হয় তখন আমরা সকলের কাছেই গিয়েছি কিন্তু কেউ আমাদের ছত্রছায়া দেয় নাই। স্বাধীনতার যুদ্ধের সময় এভাবে উচ্ছেদ করা হয়নি আমাদেরকে যেভাবে উচ্ছেদ করা হয়েছে। আমরা বস্তিতে জন্ম নিয়েছি এটাই আমাদের অপরাধ ছিল। প্রধানমন্ত্রী বস্তিবাসীদের জায়গা দিয়েছে আমাদের জায়গা কই? আমাদের পুর্নবাসন কই? এদেশে রোহিঙ্গাদের যদি পুনর্বাসন করা হয় তাহলে আমাদের পুনর্বাসন কেন করা হলো না।
তিনি আরও বলেন, আমরা আওয়ামী লীগ করতাম। কিন্তু আওয়ামী লীগের ভাল কোনো প্রার্থী পাইনি। তৈমূর আলম খন্দকার মেহনতি মানুষের নেতা। এজন্য আমরা তাকে বেছে নিয়েছি। তাকে ভালবেসে পরিশ্রম করে আমি আমার মামা আবির হোসেন দুইজনে মিলে তার নির্বাচনি প্রতিক হাতি বানিয়ে তাকে উপহার দিয়েছি। যদি তৈমূর আলম খন্দকার আসে তাহলে আমাদের পুনর্বাসন করবে বলে কথা দিয়েছে। আমরা তাকে ছায়া হিসেবে পেয়েছি। এজন্য আমরা এখন তার কাছে গিয়েছি। আমরা ১৬ নং ওয়ার্ডবাসী তাকে চাই।
তৈমূর আলম খন্দকার ওয়াদা করে বলেন, আমি প্রকাশ্যে ঘোষণা দিচ্ছি পুনর্বাসন না করে উচ্ছেদ করাটা বর্বরতা। আইনের মারপ্যাচে মানুষকে নিষ্পেষিত করা। আল্লাহপাক যদি আপনাদের জন্য আমাকে মঞ্জুর করেন তাহলে এখানে বসেই আপনাদের সমস্যার সমাধান করবো। আল্লাহপাকের অন্য ইচ্ছা থাকে তাহলে আপনাদের পক্ষে আন্দোলন সংগ্রামে থাকবো। আপনাদের সাথে কাঁধে কাধ মিলিয়ে বঙ্গবন্ধু সড়কে আন্দোলন করবো। আপনাদের পক্ষে আইনি লড়াই করবো।