সংবিধান সংশোধন করে যুদ্ধাপরাধীদের রাজনীতির সুযোগ দেন জিয়াউর রহমান, তা অনুসরণ করেছে এরশাদ ও খালেদা জিয়া। এমন মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) বিকালে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) সম্মেলন উদ্বোধনের সময় তিনি এ মন্তব্য করেন।
রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগ সমর্থিত চিকিৎসকদের সংগঠন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) ৫ম জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। বিকাল ৩টার দিকে সম্মেলনে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বক্তব্যে বলেন, পঁচাত্তরের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর অবৈধভাবে ক্ষমতার পালাবদলের মাধ্যমে বিচারের পথ বন্ধ করা হয়। রাজনীতির সুযোগ দেওয়া হয় স্বাধীনতাবিরোধীদের। আমরা ক্ষমতায় আসার পর সব রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডের বিচার করেছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সংবিধান সংশোধন করে যুদ্ধাপরাধীদের রাজনীতির সুযোগ দেন জিয়াউর রহমান, আর পরে তা অনুসরণ করেছে এরশাদ ও খালেদা জিয়া।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, জাতির পিতার খুনিদের পৃষ্ঠপোষকতা করে যুক্তরাষ্ট্র, কিন্তু তারাই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়। মাদককারবারীদের হাতে আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্য নিহতের ঘটনায় মানবাধিকার সংস্থা আর যুক্তরাষ্ট্রের কোনো উদ্বেগ নেই।
শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধুর খুনিদের দুইজন পাকিস্তানে, কানাডায় একজন ও যুক্তরাষ্ট্রে একজন পলাতক রয়েছে। আরেকজন কখনও জার্মানি আবার কখনও ভারতে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর পলাতক খুনিদেরও ধরে এনে অবশ্যই সাজা নিশ্চিত করা হবে।