সকাল নারায়ণগঞ্জঃ
নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি বাবু চন্দনশীল বলেছেন, আজ এই খানে একটি সভা হয়েছে শুনলাম। এই সভায় একজন আওয়ামীলীগ নেত্রী মেয়র আইভী বলেছেন আপনারা আমার জন্য কাজ করবেন।
কাদের বলেছেন? বিএনপি ও জামাত শিবিরের কিছু ব্যক্তিদের। মেয়র আইভী নাকি আওয়ামী লীগের রাজনীতি করেন। আরে আওয়ামী লীগের কি এতো খারাপ সময় এসে পরলো যে এদের কাছ থেকে সাহায্য চাওয়া লাগবে।
বুধবার (৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১৮ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লগের আয়োজিত এক কর্মী সভায় তিনি এ কথা বলেন।
চন্দনশীল বলেন, ইতিহাস লেখার যায় না, ইতিহাস সৃষ্টি হয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান স্বাধীনতার ঘোষনা দিয়েছেন। স্বাধীনতার নেতৃত্ব দিয়ে আমাদের স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন। একটা গনতান্ত্রিক দুর্নীতি মুক্তবাংলার স্বপ্ন দেখেছেন বঙ্গবন্ধু। বঙ্গবন্ধুর একটি আহ্বানে সারা দিয়ে আমাদের ত্রিশলক্ষ মানুষ শহীদ হয়েছে, ২ লাখ মা-বোন তাদের সম্মান দিয়েছে। এইটাই ইতিহাস। আমি আবার বলছি, ইতিহাস লেখার যায় না, সৃষ্টি হয়।
তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবাররে হত্যা করে ইতিহাস বিকৃত করতে চেয়েছিলো কিছু স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি। কিন্তু পারে নাই। হঠাত করে শুনলাম জিয়া নামে কোন সেনা বাহিনীর মেজর সে নাকি স্বাধীনতা ঘোষনা দিয়েছে, তার কথায় নাকি দেশ স্বধীনতা হয়েছে। এটা ইতিহাস না। ইতিহাস লিখেন বঙ্গবন্ধু আর আওয়ামী লীগকে নিয়ে লিখে। জামায়ত শিবির আর বিএনপি কে নিয়ে ইতিহাস আপনে লিখতে পারবেন না।
তিনি আরও বলেন, নতুন করে সব আমাদের পূর্ণ গঠন করতে হবে। নতুন করে প্রত্যকটা সংগঠন করতে হবে আওয়ামী লীগের। জননেত্রী শেখ হাসিনা নারায়ণগঞ্জে মানুষের আন্দলোন ইতিহাস সকল কিছু বিবেচনা করে নারায়ণগঞ্জ এর মানুষকে এই সিটি উপহার দিয়েছেন। বাংলাদেশের ১২ টা সিটি কর্পোরেশন আছে সেই সব সিটি দেখেন আর আমাদের সিটি টা দেখেন। সেই সিটি কি সুবিধা পাচ্ছে আর আমরা কি সুবিধা পাচ্ছি। সে সিটি কর্পোরেশন নগরিকরা সকল সুবিধা ভোগ করে কিন্তু আমাদের সকল সুযোগ-সুবিধা নিশ্চত করেনি সিটি কর্পোরেশন।
এই সিটি করর্পোরেশন আমাদের গলার কাটা হয়ে গেছে। টেক্স এর বোঝায় আমরা জর্জরিত। একটা মেয়রের দায়িত্ব হচ্ছে ২৭ টা ওয়ার্ডকে সমান চোখে দেখা। তার কোনো অধিকার নাই একটা বিশেষ ওয়ার্ডকে রাজধানী বানানো। রাজধানী বানান, ২৭ টা ওয়ার্ডকেই বানান।
১৮ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য মো. জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে ও এনসিসি ১৮নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর কামরুল হাসান মুন্নার সার্বিক তত্বাবাধায়নে এ সময় উপস্থিত ছিলেন- মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহা, যুগ্ম সম্পাদক শাহ নিজাম, ব্যবসায়ী নেতা ফয়েজউদ্দিন আহমেদ লাবলু, মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহমুদা মালা, শহর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন ভুইয়া সাজনু, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এহসানুল হক নিপু প্রমুখ।