সকাল নারায়ণগঞ্জঃ
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন ১ নম্বও ওয়ার্ড কাউন্সিলর ওমর ফারুকের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস, চাদাঁবাজ ও মাদক ব্যবসা সহ বিভিন্ন অপকর্মের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার(১৬ ফেব্রুয়ারী) সকালে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবে নাসিক কাউন্সিলর ওমর ফারুকের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস, চাদাঁবাজ ও মাদক ব্যবসা সহ বিভিন্ন অপকর্মের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেন বঙ্গবন্ধ কর্মজীবী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি হাজি চাঁন মিয়া। তিনি বলেন, সিদ্ধিরগঞ্জ পাইনাদি এলাকায় ৪ কাটা জায়গায় কোন ব্যক্তি বাড়ি করতে হলে কাউন্সিলর ওমর ফারুককে ১০ লাখ টাকা চাদাঁ দিতে হয়। একই সাথে বাড়ি র্নিমাণের মালামাল রড সিমেন্ট বালুসহ অন্যান্য জিনিসপত্র তার কাছে কিনতে বাধ্য করে। কোন মানষ নিজের ইচ্ছা মত বাড়ি করতে পারে না। অন্যথায় তিনি বাড়ি র্নিমানের কাজ বন্ধ করে দেন। সাতখুন মামলার প্রধান আসামি নুর হোসেনের মাদক ব্যবসা এই কাউন্সিলরের হাতে নিয়ন্ত্রাধীন। তিনি আরো বলেন, এই ওমর ফারুকের বাহিনী আমার ফ্যাক্টরীতে চাদাঁ চাইতে আসে তখন তাদের চাদাঁ না দেয়ায় আমার ফ্যাক্টরির দারোয়ানকে মাইর ধর করে।
তিনি আরো বলেন, সিদ্ধিরগঞ্জ পাইনাদি এলাকায় ড্রেন নির্মান কাজে বিভিন্ন অনিয়ম করেন। আমি তার প্রতিবাদ করায় সে আমার ক্ষতি সাধন করার চেষ্টা চালাচ্ছেন। এই এলাকা দিয়ে সড়ক নির্মান করা স্থানীয় বাসিন্দাদেও দীর্ঘ দিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছে। কিন্তু সড়কটির পাশে আমার ২ টি বাড়ি থাকায় ওমর ফারুক জনপ্রতিনিধি হয়েও তাতে বাধা প্রদান করে। পরে জন স্বার্থে মেয়র আইভি তা করার উদ্যোগ নেন। এবং সড়কটি ৩৭ লাখ টাকা ব্যয়ে ১২ ফুট প্রশস্থ ও ৪০০ ফুট দৈর্ঘ্য আরসিসি ঢালাই সহ ড্রেন নির্মান কাজের টেন্ডার পান মেসার্স কামাল ট্রেডার্স। রাস্তার দুই পাশের বাড়ির লোজনের পক্ষে হতে ৬ ফিট করে দেয়ার কথা হলেও তারা সকলের সম্মতি ক্রমে আমার নিকট থেকে ৮ ফিট নেন। আমিও দেই। কিন্তু আমার অপর সাইডে রফিকুল ইসলামের নিকট হতে ৪ ফিট নেয়ার কথা থাকলেও তারা তারা ২ ফিট নিয়ে আমার থেকে আরো ২ ফিট নিতে চাচ্ছে। কাউন্সিলর ওমর ফারুক রফিকের সাথে আতাত কওে আমার বাড়ি বাউন্ডারি দেয়াল ভাঙ্গার কথা বলেন। আমি তার প্রতিবাদ জানালে তিনি আমার বিরুদ্ধে অপ প্রচার চালাতে থাকেন। একজন জনপ্রতিনিধি হয়েও সে কি করে জনগনের বিরুদ্ধে কাজ করে।
এবিষয়ে নাসিক কাউন্সিলর ওমর ফারুক বলেন, আমি নিজেও একটি চুনা ফ্যাক্টরির মালিক হয়েও তার কাছ থেকে আমি কিভাবে চাঁদা চাই। কিছু দিন আগে হাজী চাঁন মিয়ার সাথে একটি রাস্তা নিয়ে তার সাথে আমার দ্বন্দ হয়। সেই রাস্তাটা তিনি বলতেছে ১২ ফিট করতে। কিন্তু রোডটি ১২ ফিট করতে হলে আমার সাতটি বড় বড় ভবন ভাঙ্গতে হবে। সেই কাজ করতে গেলে ভবনের মালিকরা মেয়র মহদোয়ের কাছে অনুরোধ করতে গেলে কোনো পরিবর্তন না এনে রাস্তা করার নির্দেশ দেন এবং আমি জনগণকে সাথে নিয়ে সেই অনুযায়ী কাজ করি। এই রাস্তা করার জন্যই আমার বিরুদ্ধে এই অপপ্রচার। আমি চা খাই না মাদক তো অনেক দূরের কথা। হাজী চাঁন মিয়া যে অভিযোগ এনেছে তা যদি প্রমাণ করতে পারে আমি কাউন্সিলরগিরি ছেড়ে দিবো।