সারাদেশের অ্যাসিড ব্যাটারিচালিত থ্রি হুইলার ইজিবাইক অপসারণের নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। কিন্তু নির্দেশনা না মেনে নগরে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে এসব অবৈধ ইজিবাইক। আর এসব পরিবহনকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে বড় এক চাঁদাবাজচক্র। রুট পারমিটের নামে ভিন্ন কৌশলে চলছে টোকেন ব্যবসা। বিশেষ কৌশল হিসেবে রাখা হয়েছে প্রতিবন্ধীদেরও।
দেশের সড়ক-মহাসড়কে দুর্ঘটনা কমিয়ে আনতে থ্রি-হুইলার, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, নসিমন, করিমন চলাচল একাধিকবার বন্ধ ঘোষণার পরও নারায়ণগঞ্জের প্রতিটি সড়ক দাপিয়ে বেড়াচ্ছে এসব অবৈধ যান। সরকারি সিদ্ধান্তের কয়েক বছর পেরিয়ে গেলেও দেশের মহাসড়কগুলোতে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত থ্রি-হুইলার (ইজিবাইক) ও মোটরচালিত রিকশা নির্বিঘ্নে চলছে। ফলে, সড়ক, মহাসড়কে দুর্ঘটনা ও মৃত্যু উদ্বেগজনক হারে বেড়ে গেছে।
চালকের স্বস্তি আর যাত্রীর সময় কিছুটা বাঁচলেও এ বাহনে রয়েছে দুর্ঘটনা ঝুঁকি। কাঠামোগত কারণে গড়ে ২০ থেকে ৩০ কিলোমিটার গতি সামাল দেওয়ার সামর্থ নেই। হাইওয়েতে প্রায় ১০০ কি. মি. গতির গাড়িকে এই সকল বাহনের সাথে স্পীড এ্যাডজাস্ট করতে হয়। ফলে সড়ক-মহাসড়কে বেপরোয়া গতি আর চালকের অদক্ষতায় হর হামেশাই ঘটছে দুর্ঘটনা। অবৈধ সংযোগে চার্জ দেওয়ার ফলে চাপ বাড়ছে বিদ্যুৎ খাতেও।
কয়েকজন বাসচালক জানান, অবৈধ এসব থ্রি-হুইলারের অনেক চালক জানেই না কীভাবে মহাসড়কে গাড়ি চালাতে হয়। তারা হুট করে দ্রতগতির গাড়ির সামনে চলে আসে। যখন ১০০ থেকে ১২০ কিলোমিটার গতিতে একটি বাস চলে তখন এসব নিষিদ্ধ যান হুট করে সামনে চলে আসলে আমাদেরকে ব্রেক করে গাড়ি থামাতেও বেকায়দায় পড়তে হয়। এতে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে।
স্থানীয়রা জানান, ট্রাফিক পুলিশকে ম্যানেজ করে এসব তিন চাকার বাহন চলছে সড়কে।
অপরদিকে লক্ষ্য করা যায় নারায়নগঞ্জের কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশ সাধারন জনগনের মিশুক ও অটো ধরে রেকার বিল করলেও ছেড়ে দিচ্ছে স্টিকার লাগানো গাড়িগুলো। এতে একপ্রকার ক্ষিপ্ত হয়ে পড়েছে সাধারন মিশুক ও অটোচালকরা।