টম ক্রুজের প্রকৃত নাম থমাস ক্রুজ ম্যাপোথার চতুর্থ। জন্মেছেন ১৯৬২ সালের ৩ জুলাই নিউইয়র্কের সারাকুজে। সেই হিসাবে কিছুদিন আগেই ৫৭ বছর শেষ করে বয়স ৫৮ চলছে। কিন্তু ছবি দেখে কি বোঝা যায়? প্রকৌশলী বাবা ও শিক্ষিকা মায়ের একমাত্র পুত্রসন্তান ক্রুজ স্কুলজীবনে অ্যাথলেট হিসেবে যথেষ্ট সক্রিয় ছিলেন, আর প্রায় প্রতি রাতেই হকি খেলতেন। অবশ্য অ্যান, ম্যারিয়ান ও ক্যাস নামে তাঁর তিন বোন আছেন।
স্কুলে পড়ার সময় ক্রুজের কুস্তি খেলার প্রতি বেশ আগ্রহ ছিল। কিন্তু হাঁটুতে ব্যথা পাওয়ার পর কুস্তি ছেড়ে তিনি স্কুলের বার্ষিক প্রযোজনা ‘গাইজ্ অ্যান্ড ডলস’-এ অডিশন দেওয়ার মধ্য দিয়ে অভিনয়ে নাম লেখান। বিশ্বাস করুন বা না করুন, আপনার স্বপ্নের নায়ক ছোট্টবেলায় ঠিক এমনটাই দেখতে ছিলেন।
ছোটবেলায় তিনি ডিসলেক্সিয়ার সমস্যায় ভুগতেন। বিষয়টি সহপাঠীদের নজরে আসা নিয়ে সব সময় খুব উদ্বিগ্নও থাকতেন তিনি। এই হলো কৈশোরের টম ক্রুজ।
ক্রুজ প্রথম বিয়ে করেন মিমি রজারসকে। ১৯৮৭ সালে ৩১ বছর বয়সী মিমি রজারকে বিয়ের সময় ক্রুজের বয়স ছিল ২৪। দুই বছর বাদে তাঁরা আলাদা হয়ে যান।
টম ক্রুজ ও নিকোল কিডম্যান। ১৯৯০ সালে ক্রুজ বিয়ে করেন ২৩ বছর বয়সী নিকোল কিডম্যানকে। ২০০১ সালে যখন তাঁদের বিচ্ছেদ হয়।
নিকোল কিডম্যান, টম ক্রুজ ও তাঁদের দুই সন্তান।
টম ক্রুজ ও কেটি হোমস। ২০০৬ সালের ১৮ নভেম্বর ২৭ বছর বয়সী কেটি হোমসকে বিয়ে করেন ৪৪ বছরের ক্রুজ। তাঁদের ছাড়াছাড়ি হয় ২০১২ সালে।
এটি টম ক্রুজ আর কেটি হোমসের বিয়ের ছবি। কন্যা সুরি হোমসকে কোলে নিয়ে বিয়ে করেছিলেন এই জুটি।
আলাদিনের অ্যানিমেটেড চরিত্রটির চেহারার গঠন আর চুলের স্টাইল টম ক্রুজের আদলে করা। তা তো বুঝলাম, কিন্তু এ কোথায় উঠে চড়েছেন টম?
১৯৯০, ১৯৯১ ও ১৯৯৭ সালে ‘পিপল ম্যাগাজিন’ ক্রুজকে বিশ্বের ৫০ জন সুন্দরতম মানুষের মধ্যে স্থান দিয়েছে। তাঁর ঝুলিতে রয়েছে তিনটি গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার। এ ছাড়া তিনবার অস্কারের মনোনয়নও মিলেছে। সে রকমই একটা অনুষ্ঠানে ভক্তদের অভিবাদন গ্রহণ করছেন টম ক্রুজ।
১৯৯৫ সালে ‘এমপায়ার’ ম্যাগাজিন তাঁকে চলচ্চিত্র ইতিহাসে ১০০ জন যৌন আবেদনময় তারকার মাঝে স্থান দেয়। ২০০৬ সালে ‘ফোর্বস’ ও ‘প্রিমিয়ার’ ম্যাগাজিন তাঁকে বিশ্বের সবচে শক্তিশালী তারকা হিসেবে আখ্যায়িত করে। সিনেমাতে প্রায়ই দেখা যায়, হেলিকপ্টার ধরে ঝুলছেন। উঁচু ভবনের ছাদ থেকে লাফ দিতে। প্রায় প্রতিটা সিনেমায়ই দেখা যায় মেরে একাকার করছেন প্রতিপক্ষের লোকজনকে। আপনার এই প্রিয় তারকা কিন্তু পাহাড় বেয়েও উঠতে পারেন।
তবে বড়বেলায় দেখা গেল তিনি এই দৌড়াচ্ছেন তো এই উড়ছেন। চলচ্চিত্রের রেটিং দেওয়া প্রতিষ্ঠান রটেন টম্যাটোস জানিয়েছে, যে চলচ্চিত্রে টম ক্রুজ যত বেশি দৌড়ান, সেই ছবির ব্যবসা তত বেশি হয়। চিত্র সমালোচকেরা কৌতুক করে বলে থাকেন, টম ক্রুজের দৌড় মানেই ছবি সুপারহিট। রোটেন টম্যাটোস বলছে, সিনেমা হলের পর্দায় ঘণ্টায় গড়ে ১০ মাইল গতিতে দৌড়ান টম ক্রুজ।
ক্রুজের অত্যন্ত জনপ্রিয় সিরিজ মিশন ইম্পসিবল চতুর্থ ছবি ‘মিশন ইম্পসিবল: ঘোস্ট প্রটোকলে’র (২০১১) প্রচারণার জন্য তিন ভারতে এসেছিলেন। অভিনেতা অনিল কাপুর তাঁকে বিমানবন্দর থেকে রিসিভ করেন। সেই সফরেই তাজমহলের সামনে তোলা এই ছবিটি।