সকাল নারায়ণগঞ্জ
বলতে গেলে শুধু ভিত গড়ে দেওয়া নয়, দালানও তুলে দিয়েছিলেন বোলাররাই। ব্যাটসম্যানদের জন্য বাকি ছিল শুধু ‘ফিনিশিং টাচ’ দেওয়া। ইনিংসের বিরতিতে পেস বোলিং কোচ অ্যালান ডোনাল্ড বলেছিলেন, ওপরের দিকে একটা বড় জুটি হলেই হয়ে যাবে। ঠিক বড় জুটি হয়নি, তবে কয়েকটি মাঝারি জুটিতেই কাজ সেরে ফেলেছে বাংলাদেশ।
শুরুতেই লিটন দাসকে হারালেও তামিম ইকবালের দ্রুতগতিতে তোলা ২৫ বলে ৩৩, নাজমুল হোসেনের ৪৬ বলে ৩৭ ও মাহমুদউল্লাহর ৬৯ বলে ৪১ রানের ইনিংসে গায়ানায় প্রথম ওয়ানডেতে বাংলাদেশ জিতল ৬ উইকেটে। ৫৩ বল বাকি থাকতে আসা জয়ে নুরুল হাসান অপরাজিত ছিলেন ২৭ বলে ২০ রানে।
টেস্টের পর টি-টোয়েন্টিতেও সিরিজ হেরে বসা বাংলাদশের জন্য ওয়ানডে ছিল একটু স্বস্তির বাতাসের মতো। তবে ছিলেন না সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম, যে দুজনকে ছাড়া ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২০০৪ সালের পর প্রথমবার ওয়ানডে খেলল বাংলাদেশ। তাঁদের অনুপস্থিতি অবশ্য টের পাওয়া যায়নি।
ভেজা মাঠের কারণে ৪১ ওভারে নেমে আসা ম্যাচে গুরুত্বপূর্ণ টসটা জিতে ফিল্ডিং নিয়েছিলেন তামিম ইকবাল। বাংলাদেশ বোলাররাও কন্ডিশন কাজে লাগিয়েছেন দারুণভাবে। শেষ উইকেট জুটির আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সেভাবে লড়াই-ই করতে পারেনি। কাজটা সহজ হয়ে এসেছিল তাতেই। দ্বিতীয় ইনিংসে কন্ডিশনও তুলনামূলক সহজ ছিল ব্যাটিংয়ের জন্য।
আকিল হোসেন, গুড়াকেশ মোতি, নিকোলাস পুরানের সমন্বয়ে গড়া উইন্ডিজ স্পিন আক্রমণের জন্য ১৪৯ রানের সম্বল যথেষ্ট হয়নি। ইনিংসে মাত্র ৭.৫ ওভার করেছেন পেসাররা।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টানা নবম ওয়ানডে জয়ে ৩ ম্যাচ সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ।