ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলার নজরুল কলাক্ষেত্রের আর্ট গ্যালারিতে শুরু হয়েছে বাংলাদেশি শিল্পীদের তিনদিনব্যাপী চিত্রপ্রদর্শনী। ডায়মন্ড সিমেন্টর স্পন্সরে চট্টগ্রাম চারুশিল্পী সম্মিলনের আয়োজনে ‘পঞ্চাশের আনন্দযজ্ঞে এসো মাতি সৃজনের নন্দিত ভুবনে’ শীর্ষক প্রদর্শনীতে চট্টগ্রামের ৩২ জন শিল্পীর ৬৯টি ছবি এবং একটি স্কাল্পচার স্থান পেয়েছে।
রবিবার সন্ধ্যায় চিত্রপ্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন ত্রিপুরা রাজ্য সরকারের সমাজকল্যাণ ও সমাজ শিক্ষা দফতরের মন্ত্রী সান্তনা চাকমা। চট্টগ্রাম চারুশিল্পী সম্মিলনের সভাপতি আহমেদ নেওয়াজের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনার কিরীটি চাকমা। বক্তব্য রাখেন আগরতলা চারু ও কারুকলা মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ অভিজিৎ ভটাচার্য, চট্টগ্রাম চারুশিল্পী পর্যদ ঢাকার উপদেষ্টা স্বপন আচার্য ও চিত্রপ্রদর্শনীর আহ্বায়ক বিজন মজুমদার।
প্রধান অতিথি সমাজকল্যাণ মন্ত্রী সান্তনা চাকমা বলেন, শুধু একা চলা সম্ভব নয়, তেমনি প্রতিবেশীকে ছাড়া উন্নয়ন সম্ভব নয়। তাই ভারত চায় বাংলাদেশ সমৃদ্ধ থেকে সমৃদ্ধতর হোক। মন্ত্রী আরও বলেন, শিল্পকলার মতো অন্যান্য বিষয়গুলি আদান-প্রদান হলে ত্রিপুরা এবং বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও বেশি সৃদৃঢ় হবে এবং মানুষ উপকৃত হবেন। ত্রিপুরা রাজ্য সরকার এ লক্ষ্যকে সামনে রেখে এগিয়ে চলছে। তিনি আশা ব্যক্ত করেন ত্রিপুরা শিল্পীরাও আগামী দিনে বাংলাদেশে গিয়ে তাদের শিল্প প্রতিভা তুলে ধরবেন। পাশাপাশি তিনি নিজে বাংলাদেশ গিয়ে সেদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করার আগ্রহ ব্যক্ত করেন।
বাংলাদেশর সহকারী হাই কমিশনার কিরীটি চাকমা বলেন, মানব সভ্যতার সূচনা হয়েছে শিল্পীদের হাত ধরে, এর ঐতিহাসিক প্রমাণ আমাদের কাছে রয়েছে। উদাহরণ মিশর, বেবিলন, সিন্ধু, মায়া সভ্যতা ইত্যাদির। সভ্যতা সম্পর্কে যে জাতি যত বেশি বুঝে তাদের কাছেই শিল্পীদের কদর অনেক বেশি।
তিনি বাংলাদেশের জন্ম আর স্বাধীনতার জন্য ত্রিপুরা রাজ্যের অবদানের কথা কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করে এই রাজ্যকে গুরুত্ব দেওয়ার সময় এসেছে বলেও নিজের অভিমত ব্যক্ত করেন। উদ্বোধন শেষে মন্ত্রী ও অতিথিরা প্রদর্শনী ঘুরে দেখেন এবং বাংলাদেশি শিল্পীদের আঁকা ছবির বেশ প্রশংসা করেন। উদ্বোধনী দিনেই প্রাকৃতিক দুর্যোগকে উপেক্ষা করে শিল্পমনস্ক বিপুল মানুষের সমাগম হয়।
২৪ সেপ্টেম্বর চিত্রপ্রদর্শনী সমাপনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন ত্রিপুরার উপ-মুখ্যমন্ত্রী যিষ্ণু দেব বর্মন।