আমি আকাশ ভালোবাসি!
নীলাকাশের বুকজুড়ে-
সাদা মেঘেরা ডানা মেলে ওড়ে।
আমার অবসরে,
রোজ শুক্রবার ভোরে-
আমি খোলা জানালায় চেয়ে থাকি দূরে।
নীলাকাশের নীলাভ শুভ্রতায় সাজাই-
মনের রঙিন আকাশ।
আকাশ ভালোবেসে নেশাসক্তের মতো-
অসীম নীলে ডুবে থাকে আমার মুক্ত বিহঙ্গ মন।
শনিবার এলে,
আলসেমি ভুলে;
নীলাকাশে ঝুলে থাকা মনের মুখে দেই-
যৌবনের একাঙ্গী মিশ্ৰিত সুগন্ধিমাখা বড়শির টোপ।
রবিবার ভোরে,
নীলাকাশে ডুবে থাকা লোভী মনকে-
বড়শীতে গেঁথে,
টেনে হিঁচড়ে তুলে স্থাপন করি শরীরে!
জীবন অথবা যৌবনের তাগিদে ডুবে যেতে-
পৈশাচিক পেশাগত জীবনে!
রোজ রবিবারে,
জবরজং স্যুট-কোর্টের ভার বইতে;
আমি শাওয়ারের নিচে এলিয়ে দেই-
অবাধ্য শিশুর মতো বয়োঃবৃদ্ধ শরীর!
সপ্তাহ-মাস-বৎসর জুড়ে অথবা আমরণ-
একটি ভগ্ন হৃদয়,
বিবাগী মন অথবা নিঃস্ব জীবনকে-
শত অনাচারেও আগলে রাখা শরীরের-
গায়ে লেপ্টে থাকা জল মুছতে মুছতে মনে হয়-
আহা বেচারা “শরীর”!
একে “শরীর” বলার কী কারণ?
কে করেছে এমন নামকরণ!
যন্ত্র বলতে কেউ কি-
কখনো করেছে বারণ?
সর্বংসহা শরীরখানি সবকিছু মেনে নিয়ে-
প্রিয়জনের প্রয়োজনের উপলক্ষ হয়ে-
শুরু করে কর্ম ব্যস্ততার জীবন!
এভাবেই কেটে যায় বৎসর-মাস-সপ্তাহ-দিন।
একদিন,
শুক্রবার ভোরে…….
জীবনের সর্বশেষ অখণ্ড অবসরে;
নীলাকাশের বুকজুড়ে সাদা মেঘেরা ডানা মেলে ওড়ে।
আমি পরিশ্রান্ত চোখে অপলক চেয়ে থাকি-
দূ…….রে……….।
নীলাকাশের দীর্ঘদিনের ঋণের বোঝা-
পরিশোধে ব্যর্থ এবং
ঋণখেলাপি হয়ে; আমরা অতি নীরবে-
নীলাকাশের শুভ্রতায় হারিয়ে যাই চিরতরে!