সকাল নারায়ণগঞ্জ :
পরিবার একটি মানবিক সংগঠন। পারস্পারিক শ্রদ্ধাবোধ, স্নেহ-মমতা, সুসম্পর্ক এবং কাঙ্খিত আচরণের মাধ্যমেই একটি পরিবার গড়ে উঠে। একটি ন্যায়সঙ্গত সমাজ ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির মাধ্যমে, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়ন পরিকল্পনায় পরিবার কেন্দ্রীক নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করা প্রয়োজন। ১৯৯৩ সালের ২০ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের এক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১৫ মে আন্তর্জাতিক পরিবার দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এবছর দিবসটির প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে “Family-Oriented Policies for Sustainable Development”.
আজ ১৫ মে ২০২৫, আন্তর্জাতিক পরিবার দিবস উপলক্ষ্যে ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্টের উদ্যোগে “শারীরিক ও মানসিক বিকাশে পরিবারের গুরুত্ব” শীর্ষক একটি আলোচনা সভায় বক্তারা এই কথা বলেন। ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্টের পরিচালক গাউস পিয়ারীর সভাপতিত্বে সভাটি সঞ্চালনা করেন সংস্থার কমিউনিকেশন অফিসার শানজিদা আক্তার এবং মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সহকারী প্রকল্প কর্মকর্তা নাজমুন নাহার।
সভায় বক্তারা বলেন, পরিবার হলো টেকসই উন্নয়নের মূল ভিত্তি। একটি সচেতন, শিক্ষিত ও মূল্যবোধসম্পন্ন পরিবারই পারে একটি টেকসই সমাজ ও রাষ্ট্র গঠনে অবদান রাখতে। পরিবার থেকে শুরু হওয়া ছোট ছোট অভ্যাসই ইতিবাচক পরিবর্তনের আনতে পারে। আধুনিক প্রযুক্তি, জনসংখ্যা বৃদ্ধি, নগরায়ণ, অভিবাসন এবং জলবায়ু পরিবর্তনের মতো চ্যালেঞ্জগুলোকে মোকাবেলা করার জন্য পরিবার-ভিত্তিক নীতিমালাগুলো ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সহায়ক হবে।
বক্তারা আরও বলেন, একটি পরিবারে ছোট-বড় সকলেরই পারষ্পরিক দায়িত্ব কর্তব্য রয়েছে। পরিবার থেকে শিশুর অভ্যাস, আচরণ, জ্ঞান, দক্ষতা গড়ে উঠে যা তাদের তার পরিপূর্ণ বিকাশে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। যৌথ পরিবারে কর্মবন্টন ও মতবিনিময়ের মাধ্যমে সকলের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখা সম্ভব। যৌথ পরিবারে বেড়ে উঠা শিশুদের মাঝে নৈতিকতা, সামাজিকীকরণ এবং সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পাশাপাশি একক পরিবারে সন্তানকে পর্যাপ্ত সময় দেওয়া জরুরী। শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধূলার সুযোগ সৃষ্টি করতে পর্যাপ্ত মাঠ-পার্ক, উন্মুক্ত স্থান, বিনোদন কেন্দ্র তৈরিতে রাষ্ট্রের যথাযথ উদ্যোগ নিতে হবে।
সভায় আরও বক্তব্য প্রদান করেন, রায়ের বাজার উচ্চ বিদ্যালয়, ঢাকা আইডিয়াল ক্যাডেট স্কুল, ধানমন্ডি কচিকন্ঠ হাই স্কুল, শেরে-বাংলা আইডিয়াল স্কুল, কনফিডেন্স মেমোরিয়াল হাই স্কুল, প্রথম আলো মডেল হাইস্কুল, চিল্ডেন ওয়াচ ফাউন্ডেশন, দলিত, ডিজ্যাবিলিটি ডিফারেন্ট প্রোগ্রাম, ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, আমেরিকান ইন্টান্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, ফাস্ট ক্যাপিটাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, বাংলাদেশ ইউনির্ভাসিটি অব হেলথ সায়েন্স, নারীগ্রন্থ প্রবর্তনা, এইড ফাউন্ডেশন, কেরানীগঞ্জ হিউম্যান রিসোর্সেস ডেভলপমেন্ট সোসাইটি, দি ইনস্টিটিউট অব ওয়েলবীইং বাংলাদেশ এবং ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্টের কর্মকর্তাবৃন্দ।