1. sokalnarayanganj@gmail.com : সকাল নারায়ণগঞ্জ : সকাল নারায়ণগঞ্জ
  2. skriaz30@gmail.com : skriaz30 :
  3. : wpcron20dc4723 :
ফের ব্রয়লার মুরগির কেজি ২০৫ টাকা - সকাল নারায়ণগঞ্জ
বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫, ০৬:১০ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট
কোরবানির পশুর চামড়া নিয়ে চাঁদাবাজি রোধে কঠোর ব্যবস্থা- জেলা প্রশাসক জালাকান্দি গ্রাম হবে “সজনী গ্রাম” – জেলা প্রশাসকের আশ্বাস কুমুদিনী ছাত্রী হোস্টেলে এক কিশোরীর আত্মহত্যার চেষ্টা  রুপগঞ্জে বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে পরিবেশ অধিদপ্তরের অভিযান, ২ লাখ টাকা জরিমানা আইজিপি কাপ ক্রিকেটে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ চ্যাম্পিয়ন নগরভবনে ইজিবাইক চালকদের হামলা, শিক্ষার্থীসহ আহত ২১ দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিরোধে পদক্ষেপ নেয়ার আহবান নতুনধারার এসএসসি পরীক্ষা সমাপ্তিতে না:গঞ্জে পরীক্ষার্থীদের চকলেট উপহার দিলেন ডিসি আইভীকে গ্রেফতারে বাধা ও পুলিশের উপর হামলার অভিযোগে ৫২ জনকে আসামি করে মামলা যে যতই প্রভাবশালী হোক না কেন, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে- এসপি

ফের ব্রয়লার মুরগির কেজি ২০৫ টাকা

সকাল নারায়ণগঞ্জঃ
  • আপডেট বৃহস্পতিবার, ১৮ জানুয়ারী, ২০২৪
  • ১৩৫ Time View

সকাল নারায়ণগঞ্জঃ

প্তাহের ব্যবধানে ফের ব্রয়লার মুরগির কেজি ২০৫ টাকায় গিয়ে ঠেকেছে। আর খাদ্যমন্ত্রীর উদ্যোগের পরও সব ধরনের চাল এখনো বাড়তি দরেই বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া খুচরা বাজারে ডাল, আটা ও মসলা পণ্যের দাম আরেক দফা বেড়েছে। 

বৃহস্পতিবার রাজধানীর কাওরান বাজার, নয়াবাজার ও মালিবাগ কাঁচাবাজার ঘুরে বিক্রেতা ও ক্রেতার সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য জানা গেছে।

এদিন রাজধানীর খুচরা বাজারে ব্রয়লার মুরগির সরবরাহে কোনো ধরনের ঘাটতি দেখা যায়নি। ক্রেতা তার চাহিদা অনুযায়ী কিনতে পারছেন। তবে দাম বাড়তি। বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২০০-২০৫ টাকা। যা সাত দিন আগে বিক্রি হয়েছে ১৮৫-১৯০ টাকা। 

নয়াবাজারে ব্রয়লার মুরগি কিনতে আসা মো. শাকিল বলেন, কয়েকদিন আগেও গরুর মাংস প্রতি কেজি ৫৯০-৬৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। তখন গরুর মাংসের পাশাপাশি ব্রয়লার মুরগির দাম কমেছিল। এখন আবার গরুর মাংস প্রতি কেজি ৭০০-৭৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তাই মুরগি ব্যবসায়ীরাও আবার ব্রয়লার মুরগির দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছে। কিন্তু বাজারে দাম বাড়ার মতো কিছুই হয়নি। বিক্রেতারা কারসাজি করে দাম বাড়িয়েছে।

একই বাজারে ব্যবসায়ী মো. জসিম বলেন, শীতে খামারে মুরগি পালনে সমস্যা হচ্ছে। খামার থেকেই সরবরাহ কমিয়ে দাম বাড়ানো হয়েছে। তাই পাইকারি পর্যায়ে দাম বেড়েছে। তার প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারে। যে কারণে বেশি দাম দিয়ে এনে বেশি দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে।

এদিকে খাদ্যমন্ত্রীর উদ্যোগের পরও চালের দাম কমেনি। সপ্তাহের ব্যবধানে ৪-৫ টাকা বাড়তি দরেই বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের চাল। খুচরা বাজারে প্রতি কেজি মোটা চালের মধ্যে স্বর্ণাজাতের চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৫-৫৬ টাকা। যা এক সপ্তাহ আগে ৫০-৫২ টাকায় বিক্রি হয়। পাশাপাশি দাম বেড়ে প্রতি কেজি মিনিকেট চাল বিক্রি হচ্ছে ৭০-৭৫ টাকা, যা আগে ৬৫-৭০ টাকা ছিল। আর কেজিতে ৪ টাকা বেড়ে নাজিরশাইল বিক্রি হচ্ছে ৭৫-৮৫ টাকা।

কারওয়ানবাজারে আল্লাহর দান রাইস এজেন্সির মালিক মো. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, আমনের ভরা মৌসুমেও মিলাররা চালের কৃত্রিম সংকট দেখিয়ে সরবরাহ কমিয়েছে। মিল পর্যায় থেকে বাড়িয়েছে দাম। ফলে পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে চালের দাম হুহু করে বেড়েছে। যে কারণে ক্রেতার বাড়তি দরে চাল কিনতে হচ্ছে। মিল পর্যায়ে তদারকি বাড়ালে চালের দাম কমবে।

খুচরা বাজার ঘুরে বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বৃহস্পতিবার প্রতি কেজি মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা; যা সাত দিন আগে ১৩৫ টাকায় বিক্রি হয়। প্রতি কেজি মুগ ডাল বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা; যা সাত দিন আগে ১৩৫ টাকা ছিল। প্রতি কেজি আটা বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা; যা সাত দিন আগে ৫৫ টাকা ছিল। প্রতি কেজি শুকনা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ টাকা; যা সাত দিন আগে ৫০০ টাকা ছিল। প্রতি কেজি হলুদ বিক্রি হচ্ছে ২৫০-৩০০ টাকা; যা আগে ২০০-২৫০ টাকা ছিল। 

এদিকে সপ্তাহের ব্যবধানে রাজধানীর খুরচা বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ আরও বেড়েছে। এতে দাম কিছুটা কমলেও তা সাধারণ ক্রতাদের নাগালের বাইরে। বৃহস্পতিবার খুচরা বাজারে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয় ৮০ টাকা; যা সাত দিন আগে ১০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। পাশাপাশি প্রতি কেজি আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হয় ৯০ টাকা। যা সাত দিন আগে বিক্রি হয়েছে ১২০ টাকায়। এছাড়া খুচরা বাজারে আলুর দাম কিছুটা কমেছে। এদিন খুচরা বাজারে প্রতি কেজি আলু বিক্রি হয় ৫০ টাকা; যা সাত দিন আগে ছিল ৬০ টাকা। সেক্ষেত্রে কেজিতে ১০ টাকা কমেছে।

কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, সরকারের নতুন মেয়াদে এবার নিত্যপণ্যের মূল্য সহনীয় করার বিষয়ে গভীর নজর দিতে হবে। মন্ত্রীরাও সোচ্চার ভূমিকা দেখাচ্ছেন। কিন্তু বাজারে তার প্রতিফলন দেখাতে হবে। কারণ সাধারণ মানুষের আয় বাড়েনি। বরং পণ্যের দাম হুহু করে বাড়ছে। তাই তাদের ভোগান্তি বেড়েছে।

বাজার তদারকি সংস্থা জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর সূত্র বলছে, নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় রাখতে রুটিনমাফিক তদারকি চলমান আছে। নতুন মন্ত্রী যেভাবে আদেশ দেবেন নতুন করে সেভাবে বাজার তদারকি চলমান থাকবে। এবার অসাধুদের কোনোভাবে ছাড় দেওয়া হবে না।

আরও সংবাদ
© ২০২৩ | সকল স্বত্ব সকাল নারায়ণগঞ্জ কর্তৃক সংরক্ষিত
DEVELOPED BY RIAZUL