ব্যস্ততম শহর নারায়ণগঞ্জ। বৈধ-অবৈধ যানবাহন দিনরাত শহরের সিংহভাগ সড়ক দখল করে নেয়। তার উপর অবৈধ ব্যাটারিচালিত ও প্যাডেল রিকসার দাপট চোখে পড়ার মতো। ফলে নিত্যদের যানজটে ভোগান্তি চরমে। পুলিশ লোক দেখানো হলেও দুই-চারটি পয়েন্টে ব্যাটারি চালিত ইজিবাইক শহরে ঢুকতে বাধা দিলেও অন্যান্য পয়েন্ট দিয়ে প্রকাশ্যেই শহরে ঢুকছে অবৈধ ইজিবাইক। আবার অবৈধ রিকসার ছড়াছাড়ি তো আছেই।
অবৈধ যান চলাচল নিরসনে শহরের মন্ডলপাড়া ব্রিজ, ১ নং গেট, ২ নং গেট, মেট্রো হলের মোড়, মহিলা কলেজের মোড়, চুনকা পাঠাগার সংলগ্ন সড়ক ও জেলা পরিষদে কমিউনিটি পুলিশ নিয়োগ করা হয়েছে। তবে সেখানে নাম মাত্র কমিউনিটি পুলিশ থাকার ফলে ট্রাফিক প্রশাসনের সামনে দিয়েই এসব যান চলছে। কিন্তু দিনের অধিকাংশ সময়ে এসব পয়েন্ট দেখা মিলে না কমিউনিটি পুলিশের। সুযোগে সহজেই ব্যাটারি রিকশা শহরে প্রবেশ করছে। এছাড়াও এসব রিকশার ব্যাটারি অবৈধপন্থায় চার্জ করায় বাড়ছে বিদ্যুতের অপচয়।
এছাড়া শহরের চাষাড়ার সুগন্ধার সামনে,কালির বাজার মোড়,২ নং রেল গেইট,গলাচিপা সহ বেশ কয়েকটি স্থানে কমিউনিটি পুলিশকে টাকা দিয়েই বসানো হচ্ছে এইসব অবৈধ অটো,মিশুক স্ট্যান্ড।
নগরবাসীর ভাষ্য, নগরে প্রচুর ব্যাটারি চালিত রিকশা চলাচল করছে। এর আধিক্য সবচেয়ে বেশি নগরের ২৭টি ওয়ার্ডের কমবেশি সব পাড়া-মহল্লাতেই। এর বাইরে গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতেও এসব যান চলতে দেখা যায়। দ্রুতগতিসম্পন্ন হওয়ায় এসব যানের চালক সহজে ব্রেক কষতে পারেন না। এতে প্রায়ই সড়কে রিকশা উল্টে ঘটছে দুর্ঘটনা। এরসাথে যানজটের ভোগান্তি তো আছেই।
নিতাইগঞ্জের বাসিন্ধা মামুন নিজের ভোগান্তির বিষয় জানিয়ে বলেন, এই শহরে ছোট বেলা থেকে বড় হয়েছি। আগে ব্যাটারি চালিত রিকশা ছিল না, তখনো মানুষ চলাচল করেছে। শহরে এতো যানজটও হতো না তখন। কিন্তু এখন এসব অবৈধ রিকশার কারণে অতিরিক্ত চাপে নগরে যানজট বাড়ছে। প্যাডেলে চালিত রিকশায় সময় বেশি লাগায় অনেকে ব্যাটারিচালিত রিকশায় ওঠেন। এই ব্যাটারিচালিত দিয়ে সহজে ব্রেক নেওয়া যায় না। আর এই বাহন চালানোর জন্য চালকেরা যথেষ্ট প্রশিক্ষিতও নাহ। অদক্ষ চালনায় প্রায়ই দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটে