আজ মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে প্রতিষ্ঠিত জাপানী অর্থনৈতিক অঞ্চলের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মধ্যদিয়ে বাংলাদেশে সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগের (এফডিআই) পাশাপাশি জাপানী বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার ক্ষেত্রে একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে বলে আশা করছে সরকার।
বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন জানান, সিঙ্গারের মতো একটি স্বনামধন্য বহুজাতিক কোম্পানি ইতোমধ্যে অর্থনৈতিক অঞ্চলে তাদের অবকাঠামো নির্মাণ শুরু করেছে।
জার্মান কোম্পানি রুডলফের সঙ্গেও একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। সিঙ্গার প্রাথমিক বিনিয়োগ করবে ৭৯ মিলিয়ন ডলার এবং রাসায়নিক কোম্পানি রুডলফ ৭ মিলিয়ন ডলার। আজ এই অর্থনৈতিক অঞ্চলের কার্যক্রম উদ্বোধনের দিনে আরো দুটি জাপানী বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে।
নির্বাহী চেয়ারম্যান জানিয়েছন, আরও ৩০টি জাপানি প্রতিষ্ঠান এবং বিভিন্ন দেশের আরও ১০টি প্রতিষ্ঠান এ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। অর্থনৈতিক অঞ্চল সম্পূর্ণ চালু হয়ে গেলে শিগগিরই আরো কয়েকটি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করা সম্ভব হবে।
তাহলে এই জোনে ১.৫ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার পাশাপাশি এক লাখেরও বেশি লোকের প্রাথমিক কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করা সম্ভব হবে।
তিনি আরো বলেন, রেড ক্যাটাগরির কোনও শিল্প বা সংস্থাকে এখানে শিল্প স্থাপনের অনুমতি দেয়া হবে না। এখানকার প্রতিটি শিল্পকে ইটিপি স্থাপন করতে হবে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ একটি কেন্দ্রীয় ইটিপি স্থাপন করবে।
এক প্রশ্নের জবাবে বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান বলেন, জাপানী অর্থনৈতিক অঞ্চল-২ স্থাপনের জন্য জমি অধিগ্রহণের কার্যক্রম শেষ হয়েছে। এছাড়াও চীনা বিনিয়োগকারীদের জন্য আরেকটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের জন্য একটি প্রস্তাব অর্থনৈতিক বিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটির (সিসিইএ) অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।
শেখ ইউসুফ হারুন জানান, দেশব্যাপী পাঁচটি অর্থনৈতিক অঞ্চলে এখন পর্যন্ত প্রায় ১৭৭টি বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান ৮ লাখ ১৬ হাজার ৫৪১ জনের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে ২২ হাজার ১৭৩ দশমিক ১৭৭ মিলিয়ন ডলারের সামগ্রিক বিনিয়োগ প্রস্তাব দিয়েছে।
এই পাঁচটি অর্থনৈতিক অঞ্চল হলো মিরসরাইয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প নগর (বিএসএমএসএন), জামালপুর অর্থনৈতিক অঞ্চল, সাবরাং ট্যুরিজম পার্ক, মহেশখালী অর্থনৈতিক অঞ্চল-৩ (ধলঘাটা) এবং শ্রীহট্ট অর্থনৈতিক অঞ্চল।