বিশ্বকাপ মঞ্চে সৌদি আরব প্রথমবার সুযোগ পায় ১৯৯৪ সালে। সেবার ১২তম দল হিসেবে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নেয় সৌদি আরব। এ বিশ্বকাপে চার ম্যাচে দুটি জয় পেয়েছিল দলটি। মরক্কোর সঙ্গে ২-১ গোল আর বেলজিয়ামের সঙ্গে ১-০ গোল ব্যবধানে জয় পায় আরবীয়রা।
বিশ্বমঞ্চে এরপর থেকে নিয়মিত সৌদি আরব। এতোদিন বড় কোনো দলের সঙ্গে জয় না পেলেও কাতার বিশ্বকাপে সেই আক্ষেপ ঘুচালো দলটি। কাতার বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ২-১ গোল ব্যবধানে জয়ের সাধ পেয়েছে সৌদি আরব। এই জয় বিশ্বমঞ্চে তাদের সর্বোচ্চ অর্জন হিসেবে বিবেচিত হতেই পারে।
১৯৯৮ বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে ২-২ গোলে ড্র, ২০০৬ বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বে প্রথম ম্যাচে তিউনিসিয়ার বিপক্ষে ২-২ গোল ব্যবধানে ড্র এবং সর্বশেষ রাশিয়া বিশ্বকাপে মিশরের বিপক্ষে ২-১ গোল ব্যবধানে জয় পেয়েছিল সৌদি আরব। কাতার বিশ্বকাপে ২-১ গোল ব্যবধানে আর্জেন্টিনাকে হারানোর মধ্য দিয়ে বিশ্বকাপে চতুর্থ জয়ের সাধ পেল আরবীয়রা।
মঙ্গলবার, কাতারের লুসাইল স্টেডিয়ামে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে মাঠে নামে সৌদি আরব। ম্যাচের ১০ মিনিটের মধ্যেই ১-০ গোল ব্যবধানে এগিয়ে যায় আর্জেন্টাইনরা। পেনাল্টি থেকে সহজ গোলে দলকে এগিয়ে দেন মেসি। এর মধ্যে অফসাইডের ফাঁদে তিনটি গোল বাতিল হওয়ায় ১-০ গোল ব্যবধানে লিড নিয়ে প্রথমার্ধ শেষ করে আর্জেন্টাইনরা।
দ্বিতীয়ার্ধে ফরমেশন বদলে ৪-৪-১-১ এ দলকে খেলান আরবিয়ান কোচ। আক্রমণাত্মক খেলার ইঙ্গিত দেন দলকেও। মাঠে নেমেই আক্রমণের ধার বাড়ায় সৌদিয়ানরা। বিরতির পর মাঠে নেমেই ৩ মিনিটের মধ্যে গোল আদায় করে নেয় তারা। ৪৮তম মিনিটে প্রথম গোল দিয়ে ম্যাচে সমতায় ফেরে সৌদি আরব। এর ৫ মিনিট পর দর্শনীয় আরেক গোলে সবুজ জার্সিধারীরা লিড নেয় আর্জেন্টিনার বিপক্ষে।
ম্যাচের বাকি সময় ডিফেন্সে নিজেদের সেরাটা দিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়ে সৌদি আরব। সৌদির হয়ে গোল করেছেন স্ট্রাইকার সালেম আল সেহরি ও উইঙ্গার সালেম আল দাউসারি।