সকাল নারায়ানগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় ভাইয়ের সামনে থেকে বোনকে গনধর্ষণের ঘটনার মাত্র ৮/৯ ঘন্টার ব্যবধানে ঘটনার সাথে যুক্ত সকল আসামীকে গ্রফতার করার দাবি করেছেন জেলার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মনিরুল ইসলাম।
তিনি জানান, আগেরদিন সোমবার (৯ ডিসেম্বর) সন্ধা ৬ টারদিকে বটতলা রেল লাইনের পাশ দিয়ে আব্দুল কাদের ও তার চাচাতো বোন হেটে বাড়ি ফেরার উদ্দেশ্য যাচ্ছিল। এ সময় ৪ যুবক মিলে তাদের পথ রোধ করে দুজনকে দুইদিকে নিয়ে যায়। পরে ভাইকে মারধর করে এবং পকেটে থাকা ৩৪’শ টাকা নিয়ে তার সামনে থেকে বোনকে তুলে নিয়ে পাশবর্তী মমিন হাজির ইটভাটা সংলগ্ন একটি টং দোকানে রাত সাড়ে ৮ টা পর্যন্ত আটকে রেখে ৭ জনে মিলে গনধর্ষণ করে।
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুর ১২ টায় ফতুল্লা মডেল থানার সেমিনার কক্ষে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি এই দাবি করেন।
আক্রান্ত তরুনী ও তার চাচাতো ভাই সদর থানাধীন গোগনগর ইউনিয়নের ফকির বাড়ি এলাকায় ভাড়ায় বসবাস সহ সখানে একটি কয়েল ফ্যাক্টরীতে কাজ করতো। ওই ফ্যাক্টরী বন্ধ হয়ে যাওয়ায় গতকাল বিকেলে তারা গার্মেন্টসে চাকরির খোঁজে ফতুল্লার বটতলা এলাকায় এসেছিল।
তিনি আরো জানান, মাসুম নামের এক ব্যক্তি ৯৯৯ এ ফোন করে পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করলে পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এবং রাতভর অভিযান চালিয়ে ঘটনার সাথে যুক্ত ৬ জনকে আটক করা হয়।
ধৃত আসামীরা হলো-দক্ষিন সেহাচর এলাকার সিরাজ মিয়ার ছেলে রাসেল (৩৮), মৃত রুকু মিয়ার ছেলে সুজন মিয়া (২৩), মৃত খোরশেদ আলমের ছেলে সাহাদাৎ হোসেন (২২), মো. ফরিদ মিয়ার ছেলে সুমন (২২), হাদিছুর রহমানের ছেলে মো. রবিন (২৩) ও আব্দুল লতিফের ছেলে মো. আল-আমিন।
এ ব্যাপারে ধৃতদের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা দায়েরের পর রিমান্ড চেয়ে আদালতে প্ররণ কার্যক্রম পক্রিয়াধীন রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক) সার্কেল মেহেদী ইমরান সিদ্দিকী, থারর অফিসার ইনচার্জ আসলাম হোসেন, তদন্ত ওসি মিজানুর রহমান ও ওসি অপারেশন সাখাওয়াত হোসেন প্রমূখ।