সকাল নারায়ানগঞ্জঃ আওয়ামী লীগের নাম ভাঙিয়ে কদম রসুল দরগাহ্’র জায়গা দখলের অভিযোগ বন্দরের নবীগঞ্জে ভূমিদস্যু,প্রতারক ও মাদক কারবারি সুজু’র খুঁটির জোড় কোথায়?
আওয়ামী লীগের নাম ভাঙিয়ে ও প্রভাব খাটিয়ে বন্দরের নবীগঞ্জে অবস্থিত কদম রসুল দরগাহ্’র জায়গা দখলের অভিযোগ উঠেছে মশিউর রহমান সুজুর বিরুদ্ধে। দরগাহ্ ওয়াক্ফ এষ্টেট জায়গা পুণরায় ফেরত পেতে থানায় অভিযোগ করেও বিপাকে খাদেম নিলু। মশিউর ররহমান সুজু দলীয় প্রভাব খাটিয়ে জায়গা দখল এমনকি বাদী নিলুকে দেখে নেয়ার হুমকি দিয়েছে বলে জানা গেছে। সুজুকে মূলত বহুরূপী হিসেবে সকলে চিনে থাকে।
কখনো এস এম আকরাম,কখনো বিএনপি,কখনো আইভী-সুফিয়ান,আবার কখনো রাতারাতি ভোলপাল্টিয়ে আনোয়ার-আরমানের খাশলোক পরিচয় দিয়ে নিজেকে আওয়ামী লীগের নেতা পরিচয় দিয়ে নিজের ক্ষমতা জাহির করে চলেন।আসলে তার কোন দল নেই। মুহুর্তের মধ্যে গিরগিটির মতো রং পাল্টায় সে। এ ধরনের লোক যেনো আওয়ামী লীগের কোন গুরুত্বপূর্ণ পদ না পায় সে ব্যপারে দলের সিনিয়রদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ।
চা-পাতা ব্যবসার অন্তরালে মাদক ব্যবসা করত বলেও অভিযোগ রয়েছে। চা-পাতার গাড়িতে ফেন্সিডিলসহ সুজুকে পুলিশ গ্রেফতার করলেও কোন মামলা হয়নি রহস্যজনক কারণে। এছাড়াও নবীগঞ্জের সাব্বির আহমেদ হিমেলের স্ত্রী রুমা আহমেদের কাছ থেকে একলাখ টাকা ধার নিয়ে কথামতো ফেরত না দিয়ে নানা তালবাহানা করতে থাকলে তানিয়ে স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে বিচার শালিশের মাধ্যমে ১০হাজার টাকা আদায় হলেও তিন বছর যাবত বাকি ৯০হাজার টাকা ফেরত না দিয়ে উল্টো হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এলাকাবাসী সূত্রে আরো জানাগেছে,সুজুর বাবাকে সবাই ডাকাত হিসেবে চিনতো,একবার ড্রেজার থেকে তেল চুরি করতে গিয়ে আনসারের গুলিতে আহত হয়ে গোপনে চিকিৎসা করিয়েছিল।
স্থানীয়দের ভাষ্য, যিনি কদমরসুল দরগাহ্রে জায়গা দখল নিতেও দ্বিধা করেননি। ওলি আউলিয়ার দরগার সম্পত্তি যিনি দখল করেন তাকে কি বলা যায়? যা নিয়ে সর্বত্র দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। কে এই সুজু ? তার খুঁটির জোড় কোথায়। এস এম আকরাম,আইভী, আনোয়ার হোসেন নাকি জি এম আরমান। তাদের নাম ভাঙ্গিয়ে নাকি শেল্টারে এরূপ অপকর্ম করে যাচ্ছে। ভূমিদস্যুতা,মাদক কারবারী ও নারী কেলেংকারীসহ সুজুর বিরুদ্ধে সকল বিষয়ে তদন্তপূর্বক প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী স্থানীয় সচেতন মহলের।
সূত্র মতে, বন্দরের নবীগঞ্জ কদম রসুল দরগাহ্ সংলগ্ন মৃত আবুল হোসেনের ছেলেসুজু ওয়াক্ফ জায়গা দখল করে রেখেছে। সেখানে টিনসেড ঘর বানিয়ে তাতে “ভাড়া হবে” সাইনবোর্ডও স্থাপন করেছে সুজু। বন্দরে হাজী নূর মোহাম্মদ ওয়াক্ফ এষ্টেট( আল আওলাদ) কদম রসুল দরগাহ শরীফের জায়গা দলীয় প্রভাব খাটিয়ে দখলসহ তার বিরুদ্ধে রয়েছে বিস্তর অভিযোগ।
এ বিষয়ে সাদেকুল ইসলাম ভূইয়া (নিলু) বাদী হয়ে বন্দর থানায় জিডি নং ৪৯৩ দায়ের করেন। এর প্রেক্ষিতে (২৬ নভেম্বর) বন্দর ফাঁড়ির ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমান সরেজমিনে গেলে তার সত্যতা পায়। সুজু পুলিশের সাথে অশোভন আচরণসহ বাদীসহ অন্যান্য খাদেমদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। তার মারমুখি আচরণে স্থানীয় লোকদের মাঝে নানা আলোচনা ও সমালোচনা দেখা দিয়েছে।
কে এই মশিউর রহমান সুজু এমন প্রশ্ন এখন সর্বত্র আলোচনার কেন্দ্র-বিন্দুতে পরিনত হয়েছে। সরকার দলীয় নেতা সুজু কখনো এস এম আকরাম বলয়ের, আবার নাসিক মেয়র আইভী ও সুফিয়ানের লোক পরিচয় দিয়ে প্রভাব বিস্তার করে চলতো। বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন এবং জি এম আরমানের নাম ভাঙ্গিয়ে চলছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ সারাদেশে প্রায় ৩শ’ মসজিদ নির্মাণ করার উদ্যোগ নিয়েছে সেখানে সুজু কদমরসুল দরগাহ’র জায়গা দখল করার স্পর্ধা কোথায় পায়? এ বিষয়ে জানতে সুজুর মোবাইলে কল দিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি।