দিনের প্রথম ম্যাচে ভক্তদের হৃদয় ভেঙেছে ব্রাজিল। একই ভয় লাগিয়ে দিচ্ছিল আর্জেন্টিনাও! দুই দফা এগিয়ে গিয়েও শঙ্কায় পড়ে যায় আর্জেন্টিনা। ম্যাচ যায় অতিরিক্ত সময়ে। গোল না আসলে ম্যাচের ভাগ্য গড়ায় টাইব্রেকারে। সেখানে আর অঘটন না ঘটিয়ে ম্যাচের ভাগ্য নিজেদের করে নেয় আর্জেন্টিনা। রুদ্ধশ্বাস লড়াই জিতে কাতার বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠল লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনা।
বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে টাইব্রেকারে নেদারল্যান্ডসকে গোলে ৪-৩ ব্যবধানে হারিয়েছে আর্জেন্টিনা। দলের নির্ধারিত সময়ে গোল করেছেন মেসি ও মলিনা।নেদারল্যান্ডসের হয়ে দুটি গোলই করেনভেহর্স্ট।
কাতার বিশ্বকাপের দ্বিতীয় দল হিসেবে শেষ চারে পা রেখেছে আর্জেন্টিনা। এর আগে ব্রাজিলকে হারিয়ে ওঠে ক্রোয়েশিয়া। এবার সেমিফাইনালে মুখোমুখি হবে আর্জেন্টিনা ও ক্রোয়েশিয়া।
এদিন ম্যাচটি শেষ মুহূর্তে ২-২ সমতা ফেরায় নেদারল্যান্ডস-আর্জেন্টিনা ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। সে সময়েও গোল ব্যবধান না আসায় দেওয়া হয় টাইব্রেকার। তাতে জয় তুলে নিয়ে কাতার বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে আর্জেন্টিনা।
শুক্রবার দিবাগত রাত ১টায় কাতারের লুসাইল স্টেডিয়ামে নেদারল্যান্ডসের মুখোমুখি হয় আর্জেন্টিনা। প্রধমার্ধে ১-০ গোলে এগিয়ে ছিল আলবিসেলেস্তেরা। দ্বিতীয়ার্ধে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন তারকা মেসি। আর ওয়াউট ওয়েঘোর্স্ট নিজেই নেদারল্যান্ডসের হয়ে দুই গোল করে খেলা জমিয়ে তোলেন। তাতে গোল ড্র হওয়ায় ম্যাচে ঠেকে অতিরিক্তি সময়ে। তাতেও ফল না আসায় ম্যাচে হয় টাইব্রেকার। যাতে সুফল পায় আর্জেন্টিনা।
এদিন ম্যাচের শুরুর দিকে নেদারল্যান্ডসকে চাপে রেখেছিল মেসির দল। ২২ মিনিটে রদ্রিগো ডি পলের বলে গোলমুখে শট নিয়েছিলেন মেসি। তবে মেসির বাম পায়ের শটটি লক্ষ্য রেখে অনেক ওপর দিয়ে চলে যায়। এর দুই মিনিট পরেই দুর্দান্ত সুযোগ পেয়েছিলেন ডাচ স্ট্রাইকার স্টিভেন বার্গভিজন। সে যাত্রায় সুযোগ কাজে লাগিয়ে গোল আদায় করতে পারেনি দলটি।
৩৫তম মিনিটে হয় ম্যাচের প্রথম গোল। লিওনেল মেসির সহায়তায় গোলটি করেছিলেন আর্জেন্টাইন ডিফেন্ডার নাহুয়েল মলিনা। মেসির দুর্দান্ত পাসে নেদারল্যান্ডসের ডি-বক্সে বল পেয়েছিলেন মলিনা। ডাচ রক্ষণ এবং গোলরক্ষককে ফাঁকি দিয়ে জালে বল জড়াতে সময় নেননি এই ডিফেন্ডার। তাতেই ১-০ গোলের লিড নিয়ে বিরতিতে যায় আর্জেন্টিনা।
বিরতির পর ৭১তম মিনিটে নেদারল্যান্ডসের ডি-বক্সের মধ্যে ফাউল করে বসেন দেনজেল দামফ্রিজ। তাতে পেনাল্টি দেন রেফারি। পেনাল্টি থেকে গোল করে দলের ব্যবধান দ্বিগুণ করেন তারকা মেসি। দুই গোল হজম করে ম্যাচে ফিরতে মরিয়া হয়ে ওঠে নেদারল্যান্ডস। তাতে সাফল্যও এসে যায়।
ম্যাচের ৮৩তম ব্যবধান কমিয়ে ফেলে নেদারল্যান্ডস। স্টিভেন বার্গুইসের পাসে সে সময়ে গোল করেন ওয়েঘোর্স্ট। এর পর ফের ওয়েঘোস্ট চমক। সেটাও শেষ বাঁশি বাজার আগ মুহূর্তে। ১০১তম মিনিটে টিউন কোপমেইনারসের সহায়তায় দ্বিতীয় গোল করে দলকে ম্যাচে সমতা ফেরান ওয়েঘোর্স্ট।
ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। সেখানে আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে গোল না আসলে শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকারে গিয়ে স্বস্তি মেলে আর্জেন্টিনার।