একজন মানুষের কেবল সময় অপচয় নয়, আর্থিক ও স্বাস্থ্যগত ক্ষতির পরিমাণও বাড়িয়ে দিচ্ছে নারায়নগঞ্জের অবৈধ ব্যাটারিচালিত মিশুক ও অটো। এ থেকে পরিত্রাণ পেতে শুধুমাত্র লোক দেখানো অভিযানেই মনযোগী দায়িত্বপ্রাপ্তরা। একদিকে ফুটপাত অবৈধ দখল, অপরদিকে নারায়নগঞ্জের জনসমাগম সড়কগুলোর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত অবৈধ মিশুক ও অটোর দীর্ঘ লাইন, যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং সবকিছু মিলিয়ে যে অনেকটা অসহায় নারায়নগঞ্জবাসী।
কোনমতেই অবৈধ ব্যাটারিচালিত মিশুক ও অটো থেকে রেহাই পাচ্ছে না নারায়নগঞ্জের সাধারণ জণগণ। সড়ক দুর্ঘটনা ও যানজটের বেশ কিছু কারণ থাকলেও নারায়নগঞ্জের এখন প্রধান সমস্যা অবৈধ মিশুক ও অটো গাড়ির ছড়াছড়ি। বিগত কয়েক বছর থেকে নারায়ণগঞ্জে হু হু করে বাড়ছে টমটম ও মিশুক গাড়ি। যা নারায়ণগঞ্জের ধারণ ক্ষমতা থেকে অনেক গুণ ছড়িয়ে গেছে। যার কারণে অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাচ্ছে যানজট ও দুর্ঘটনা।
অপরদিকে লক্ষ্য করা যায় নারায়নগঞ্জের কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশ সাধারন জনগনের মিশুক ও অটো ধরে রেকার বিল করলেও ছেড়ে দিচ্ছে স্টিকার লাগানো গাড়িগুলো। এতে একপ্রকার ক্ষিপ্ত হয়ে পড়েছে সাধারন মিশুক ও অটোচালকরা।
জানা যায় কতিপয় কিছু সাংবাদিক ১৫০০ টাকার বিনিময়ে এই অবৈধ মিশুক ও অটোতে স্টিকার বা কার্ড প্রদান করে থাকে। বিনিময়ে পুলিশ তাদের কার্ড বা স্টিকার লাগানো থাকলে ট্রাফিক পুলিশ গাড়ি না ধরার আশ্বাস দিয়ে থাকেন।
অদক্ষ ও অপ্রাপ্ত বয়স্ক চালকদের বেপরোয়ায় নারায়ণগঞ্জে দিন দিন বাড়ছে সড়ক দুর্ঘটনা। সর্বোপরি মহেশখালী নারায়ণগঞ্জের বর্তমান চিত্র অবৈধ টমটম ও মিশুক গাড়ি বেড়েছে গণহারে।একদিকে যেমন অবৈধ মিশুক ও অটো চালকদের বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানোর মাত্রা বেড়েছে, অপরদিকে অদক্ষ অপ্রাপ্ত বয়স্ক ১৮ বছরের নিচে ড্রাইভারদের সংখ্যা বেড়ে চলেছে গণহারে।
যার ফলে অবৈধ টমটম ও মিশুক গাড়ির ছড়াছড়িতে যেমন যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে, তেমনি ঘটছে প্রতিনিয়ত সড়ক দুর্ঘটনা।
জামাল নামে একজন মিশুক চালক জানান,শহরে স্টিকার লাগানো গাড়ি দেখলে ট্রাফিক পুলিশ তাদের ছেড়ে দেন কিন্ত আমার গাড়িতে স্টিকার বা কার্ড না থাকায় তারা আমার গাড়ি ধরে নিয়ে আসছে।
নাম বলত অনিচ্ছুক এক অটো চালক সকাল নারায়ণগঞ্জ কে জানান,তার এলাকার এক বড় ভাই সাংবাদিক তিনি তাকে ১৫০০ টাকার বিনিময়ে গাড়িতে স্টিকার বা কার্ড প্রদান করেছে। ট্রাফিক পুলিশ ধরলেই তিনি (অটোচালক) অই কার্ড দেখালে ট্রাফিক পুলিশ তাকে ছেড়ে দেয় আর বেশি ভেজাল করলে অই সাংবাদিক ভাইকে ফনে কথা বলিয়ে দিলে গাড়ি আর আটকিয়ে রাখেনা।