সকাল নারায়ণগঞ্জঃ নারায়ণগঞ্জের সর্বমহলে সংগীত শিল্পী হিসেবে পরিচিত এক মুখ রিয়া খান। ছোট বেলা থেকেই সংগীতকে ভালোবেসে সুরের মুর্ছনায় হারিয়ে ফেলতেন নিজেকে। এ পর্যন্ত খ্যাতিমান অনেক শিল্পীদের মঞ্চে গান পরিবেশন করেছেন তিনি। তার পরিচিতি এখন শুধু নারায়ণগঞ্জেই সীমাবদ্ধ নয়। দেশের বিভিন্ন জেলায় শহরে গিয়েও গান গেয়ে দর্শক শ্রোতাদের মন জয় করে চলেছেন। আধুনিক ফোক সহ সবধরনের গান গেয়ে থাকেন সে। সুরেলা ও খ্যাতিমান জননন্দিত এই কন্ঠ শিল্পী রিয়া খানের সাথে আমাদের কথা হয় তার গানের জীবন নিয়ে। সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন।
নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানার সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে তার জন্ম হয়। ছোট বেলায় বাবাকে হারিয়ে হয়ে পড়েন দিশেহারা। তিন বোন এক ভাই নিয়ে মমতাময়ী মা অতি কষ্টে সংসার পরিচালনা করেন। বোনদের মধ্যে সবার ছোট রিয়া খান। ২০১০ সালের শুরুর দিকে তার গানের চর্চা শুরু হয়। প্রথমে সংগীত গুরু রেজা থেকে পরে একে একে সেলিম, এসএ শামীম এর কাছ থেকেই তার গানের তালিম নেন। সহযোগীতা পান মিউজিশিয়ান সাগর, হিরু, মজনুসহ অনেকের। তার প্রথম মঞ্চ প্রোগ্রামের আত্মপ্রকাশ ঘটে। ধারাবাহিকতায় গানের জগতের অনেক শিক্ষা গুরু ও মিউজিশিয়ানদের সাথে পরিচয় হয় রিয়া খানের। সকলের সহযোগীতায় ও দর্শক শ্রোতাদের ভালোবাসায় ব্যাপক পরিচিতি ছড়িয়ে পড়তে থাকে বিভিন্ন উচ্চ মহলে।
সহজ, সরল, হাস্যোজ্জ্বল ও বিনয়ী এ কন্ঠ শিল্পী সকলের সহযোগীতা নিয়ে সংগীতাঙ্গনে তা স্থান করে নিয়েছেন একজন আধুনিক ও ফোক গানের শিল্পী হিসেবে।
জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইউটিব চ্যানেলে তার ২ টি মিউজিক ভিডিওসহ প্রচারিত হয়েছে। তার মতে, আসলে শিল্পী পরিবারে আমার জন্ম না হলেও পরিবারের সবার সহযোগীতা পেয়েছি।
পেয়েছি শিক্ষা গুরুদের। সেই সাথে প্রোগ্রাম অর্গানাইজারদেরও। তাদের সকলের সহযোগীতা পেয়েই আমি আজ রিয়া খান নামে পরিচিত। আর দর্শক শ্রোতাদের ভাললাগার গানগুলো পরিবেশন করে থাকি বলে সকলের কাছে আমি শিল্পী হিসেবে পরিচিতি পেয়েছি। হয়তো সংগীতে তেমন উচ্চ শিক্ষা বা দীক্ষা নেই আমার। তবে সংগীতের প্রতি আছে আমার ভাললাগা ও ভালোবাসা। আমি সর্বদা চেষ্টা করি দর্শক শ্রোতাদের জন্য ভাল ভাল গান উপহার দিতে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন যাতে সংগীত প্রেমীদের মনের মতো একজন শিল্পী হয়ে চিরদিন বেঁচে থাকতে পারি।