1. [email protected] : সকাল নারায়ণগঞ্জ : সকাল নারায়ণগঞ্জ
  2. [email protected] : skriaz30 :
  3. : wpcron20dc4723 :
পাঁচ ঝুঁকিতে বাংলাদেশের অর্থনীতি - সকাল নারায়ণগঞ্জ
শুক্রবার, ১১ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:২০ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট
সিদ্ধিরগঞ্জে ইসলামী আন্দোলনের সদস্য সংগ্রহ কর্মসূচি উদ্বোধন মহিলা পরিষদ না’গঞ্জ জেলার নেতৃবৃন্দের বিভিন্ন পূজা মণ্ডপ পরিদর্শন ও শুভেচ্ছা বার্তা প্রদান স্বাধীনতার ৫৩ বছর পর ইসলামকে বিজয়ী করার সুযোগ এসেছে – মুফতি মাসুম বিল্লাহ কালীর বাজারে অগ্নিকাণ্ডের পরিস্থিতি পরিদর্শনে ইসলামী আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ মহিলা পরিষদের কেন্দ্র পরিচালিত “জেন্ডার, নারীর ক্ষমতায়ন ও উন্নয়ন বিষয়ক সার্টিফিকেট (১৪তম) কোর্স”- এর মাঠকর্ম অনুষ্ঠিত বন্দরে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ও ভুল বুঝাবুঝির অবসান ইসলামী আন্দোলনের শারদীয় দূর্গা পুজা উপলক্ষে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সাথে ইসলামী আন্দোলনের মতবিনিমিয় BHDS অপরাধ প্রতিরোধ কল্যাণ সংস্থার উদ্যোগে ফতুল্লায় আন্তর্জাতিক শিক্ষক দিবস-২০২৪ উদযাপন BHDS অপরাধ প্রতিরোধ কল্যাণ সংস্থার উদ্যোগে আন্তর্জাতিক শিক্ষক দিবস উদযাপন করা হয় রূপগঞ্জে হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর নির্যাতন  হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন

পাঁচ ঝুঁকিতে বাংলাদেশের অর্থনীতি

সকাল নারায়ণগঞ্জঃ
  • আপডেট শনিবার, ১৩ জানুয়ারী, ২০২৪
  • ১৭৩ Time View

সকাল নারায়ণগঞ্জঃ

পাঁচ ঝুঁকিতে আছে বাংলাদেশের অর্থনীতি। এগুলো হলো-Ñজ্বালানি স্বল্পতা, মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি কমে যাওয়া, মূল্যস্ফীতি, সম্পদ ও আয়বৈষম্য এবং সরকারি ঋণ বেড়ে যাওয়া ও বেকারত্ব। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম (ডব্লিউইএফ) প্রকাশিত বৈশ্বিক ঝুঁকি প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। ফোরামের বার্ষিক সম্মেলনের আগে বুধবার এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
 
এতে বলা হয়, করোনা মহামারির পর চলতি বছর বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি হবে সবচেয়ে কম। বিশ্বব্যাংকের পর ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম এ প্রতিবেদন দিল। সেখানে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি বৈশ্বিক ঝুঁকি চিহ্নিত করা হয়েছে। বাংলাদেশে ডব্লিউইএফ-এর অংশীদার হিসাবে কাজ করেছে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। মোট ৭১টি কোম্পানির ওপর জরিপ করে ঝুঁকির এ তালিকা প্রস্তুত করেছে তারা। এ ব্যাপারে সিপিডির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, এ জরিপ ব্যবসায়ীদের ওপর করা হয়েছে। এতে দেখা যায়, তাদের (ব্যবসায়ী) কাছে জ্বালানি সংকট এখন প্রধান ঝুঁকি। শিল্পকারখানায় এখন চাহিদার ৬০ শতাংশ গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে। এতে গ্যাসনির্ভর শিল্প খাতে উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে।

জানা যায়, গ্যাসের স্বল্পতা থাকায় শিল্পকারখানায় রেশনিং করা হচ্ছে। এতে রপ্তানিমুখী শিল্পগুলো গ্যাস পেলেও স্থানীয়, বিশেষ করে এসএমই ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পগুলো চাহিদামতো গ্যাস পাচ্ছে না। এ পরিস্থিতি শিল্পের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে উঠছে। সরকার গ্যাসের মূল্য অনেকটা বাড়িয়েও সরবরাহ নিশ্চিত করতে পারছে না, যদিও দাম বাড়ানোর সময় বলা হয়েছিল যে গ্যাসের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিত করা হবে। সেই সঙ্গে বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির কারণেও শিল্পের উৎপাদন খরচ বাড়ছে।

ব্যবসায়ীদের কাছে দ্বিতীয় ঝুঁকি হচ্ছে মূল্যস্ফীতি। উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে ব্যবসায়ীরা দীর্ঘ মেয়াদে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে অনিশ্চয়তায় পড়েন। এছাড়া উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে লেনদেনের ভারসাম্য থাকে না। ব্যবসায়ীদের ঋণপত্র (এলসি) খুলতেও সমস্যা হয়। পাশাপাশি রপ্তানিকারকদের প্রতিযোগিতার সক্ষমতা কমে যায়। এবার ব্যবসায়ীরা অর্থনীতিতে ঝুঁকির কারণ হিসাবে বৈষম্যের কথা উল্লেখ করেছেন। সম্পদ ও আয় উভয় ধরনের বৈষম্য। গত বছর এ বিষয়টি ঝুঁকির তালিকায় ছিল না। 

এ ব্যাপারে গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, বিষয়টি এখন সারা বিশ্বেই আলোচিত হচ্ছে। বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরাও এখন তার গুরুত্ব বুঝতে পারছেন। সিপিডির এ গবেষণা পরিচালক বলেন, উচ্চ আয়বৈষম্য থাকলে নিু ও মধ্যম আয়ের মানুষের ক্রয়ক্ষমতা তেমন একটা বাড়ে না। সমাজের উচ্চশ্রেণির মানুষের হাতে সম্পদ ও অর্থ জড়ো হলে যে সমস্যা হয়, তা হলো তারা সেই অতিরিক্ত অর্থ বেশি ব্যয় করেন না। অনেকে আবার বিদেশে ব্যয় করেন। মধ্যশ্রেণির ভোক্তারা হলেন সমাজের মূল ভোক্তা। তাদের আয় না বাড়লে অর্থনৈতিক সম্প্রসারণের গতি কমে যায়। সমাজে উচ্চ বৈষম্য থাকলে সামাজিক অস্থিরতা তৈরি হয়। শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির আন্দোলন তীব্র হয়। 

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা বা এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা পূরণে পিছিয়ে থাকবে। এক্ষেত্রে যে অর্থায়ন প্রয়োজন, সেই নিরিখে বাংলাদেশ পিছিয়ে আছে। বলা হয়েছে, ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বাংলাদেশকে মাথাপিছু প্রায় ৪০০ ডলার বিনিয়োগ করতে হবে। কিন্তু বাস্তবে ২৩০ ডলারের মতো বিনিয়োগ হতে পারে।

পঞ্চম ঝুঁকি হচ্ছে সরকারি ঋণ বেড়ে যাওয়া। প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকারি ঋণ বাড়লে প্রথমত বেসরকারি খাতের ঋণপ্রবাহ কমে। এ বিষয়ে ব্যবসায়ীরা অতীতে বারবার উচ্চকণ্ঠ হয়েছেন। সরকারি ঋণ বাড়লে ব্যাংক ঋণের সুদও বেড়ে যায়। এর আগে ২০২৩ সালে ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশের প্রধান যে পাঁচটি ঝুঁকি চিহ্নিত করেছিলেন, সেগুলো ছিল উচ্চ মূল্যস্ফীতি, ঋণসংকট, উচ্চ পণ্যমূল্যের ধাক্কা, মানবসৃষ্ট পরিবেশগত ক্ষতি ও সম্পদের জন্য ভূরাজনৈতিক প্রতিযোগিতা।

প্রতিবেদনে বৈশ্বিক পরিসরে আগামী ২ বছরে ১০টি প্রধান ঝুঁকি চিহ্নিত করা হয়েছে। সেগুলো হলোÑভুল ও অপতথ্য, আবহাওয়ার চরমভাবাপন্নতা, সামাজিক বিভেদ, সাইবার নিরাপত্তাহীনতা, অভ্যন্তরীণ সশস্ত্র সংঘাত, অর্থনৈতিক সুযোগের অভাব, মূল্যস্ফীতি, অনিচ্ছাকৃত অভিবাসন, প্রবৃদ্ধির গতি কমে যাওয়া ও দূষণ।

আরও সংবাদ
© ২০২৩ | সকল স্বত্ব সকাল নারায়ণগঞ্জ কর্তৃক সংরক্ষিত
DEVELOPED BY RIAZUL