1. sokalnarayanganj@gmail.com : সকাল নারায়ণগঞ্জ : সকাল নারায়ণগঞ্জ
  2. skriaz30@gmail.com : skriaz30 :
  3. : wpcron20dc4723 :
পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের বর্ধিতকৃত বেতন দেয় না সিটি কর্পোরেশন দায় কার - সকাল নারায়ণগঞ্জ
শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৪:১৬ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির বিনম্র শ্রদ্ধা ও দোয়া অনুষ্ঠিত। স্বাধীনতা দিবসে শহীদদের প্রতি আজমেরী ওসমানের শ্রদ্ধাঞ্জলী ভুল চিকিৎসায় এক গৃহবধূ নিহত পলাতক চিকিৎসক ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমি সত্যিই হতবাক একেএম সেলিম ওসমান সংসদ সদস্য নারায়ণগঞ্জ ০৫ নবজাতক শিশুর লাশ উদ্ধারের ঘটনায় আসামিদের কোর্টে পেরন রূপগঞ্জে ইমাম সম্মেলনে গাজী গোলাম মূর্তজা মুরুব্বিদের সমর্থনে নির্বাচন করবো হিংসা বিদ্বেষ ছেড়ে সিয়াম সাধনায় ব্রত হওয়ার আহ্বান নারায়ণগঞ্জে সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের মতবিনিময়সভা শামীম ওসমা‌নের সুস্থতা কামনায় ক‌বির‌ হে‌সে‌নের উদ্যো‌গে বি‌শেষ দোয়া ভূয়া সিআইডি কর্মকর্তা সেজে একাধিক তরুণীর সাথে প্রতারণা, গ্রেফতার ১

পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের বর্ধিতকৃত বেতন দেয় না সিটি কর্পোরেশন দায় কার

সকাল নারায়ণগঞ্জঃ
  • আপডেট মঙ্গলবার, ১৪ মার্চ, ২০২৩
  • ১০৪ Time View
  • সকাল নারায়ণগঞ্জ

 

 

বেতন-ভাতা ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ৬ দফা দাবি আদায়ে মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত নগরভবন ঘেরাও করে বিক্ষোভ করে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্চন্নতাকর্মীরা। সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন কর্মকর্তা, কাউন্সিলর ও নারায়ণগঞ্জ সদর থানা পুলিশ চেষ্টা করেও তাদের এ কর্মসূচী বন্ধ করতে না পেরে অবশেষে কোনো উপায় না পেয়ে বিকেল ৪টার সময় মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী নীচে নেমে আসতে বাধ্য হন।

 

নীচে নেমে সাংবাদিকদের সাথে বিরূপ আচরণ করেন মেয়র আইভী। এসময় তিনি উপস্থিত সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, তোমরা এসব কি করছো, মনে হয় এখানে কি যেন হয়ে গেছে। তোমাদের কারণেই ওরা এতো বাড় বেড়েছে। তোমরাই ঝামেলা বাড়াচ্ছো! ফাইজলামি করো মিয়া। মেয়রের এমন আচরণে হতবিহবল হয়ে পড়ে উপস্থিত সাংবাদিকরা।

 

এসময় উপস্থিত সাংবাদিকরা বলেন, স্টাফদের বেতন দিতে পারেনা সিটি কর্পোরেশন। মেয়র হিসাবে এই দায় সিটি মেয়র আইভীর। সেই দায় তিনি কোনোভাবেই এড়াতে পারেন না। সেই দায় না নিয়ে তিনি উল্টো সাংবাদিকদের উপর দায় চাপিয়ে দিচ্ছেন। সাংবাদিকদের কারণেই নাকি পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা নগরভবন ঘেরাও করেছে। মেয়রের এমন কথা শুনে সাংবাদিকদের অনেকে আবার হাসিঠাট্টা করে বলেন, মেয়র মনে হয় চাপ নিতে পারছে না। তাই সাংবাদিকদের উপর দায় চাপিয়ে নিজে দায়মুক্ত হওয়ার চেষ্টা করছেন।

 

এসময় পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে আইভী বলেন, পরিচ্ছন্নতাকর্মী, কাউন্সিলরদের সচিব ও অন্যান্য স্টাফদেরও বেতন আরো ৩মাস আগে বেড়েছে। কিন্তু বৃদ্ধি হওয়া এ টাকা আমরা কাউকেই দিতে পারি নাই, কেননা আমাদের কাছে টাকা নেই। তোদের বেতন ৮ হাজার টাকা আর ফ্ল্যাটে থাকার জন্য ৫ হাজার টাকা দেয়া হবে এবং ফ্ল্যাটে থাকলে এই ৫ হাজার টাকা কেটে নেয়া হবে কাজ করলে কর আর না করলে নাই। আমি চললাম।

 

এর আগে, বিক্ষোভ কর্মসূচীতে “অ্যাকশন অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন”, “ আর নয় হেলা ফেলা, এবার হবে ফাইনাল খেলা” এ ধরনের নানা শ্লোগান দিতে থাকে পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা। বিক্ষোভ করতে করতে নগর ভবনের গেইটের সামনে বসে পড়ে এবং দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত নগর ভবনের ভিতরে থাকা কোনো গাড়ি বাইরে যেতে দেয়া হবেনা বলে ঘোষণা দেয় তারা।

 

দুপুর দেড়টায় সিটি কর্পোরেশনের একজন কাউন্সিলর তাদের মেইন গেইট থেকে চলে যেতে বলে। তখন পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের তোপের মুখে পড়ে এবং অবস্থা বেগতিক দেখে নগরভবন ত্যাগ করে ঐ কাউন্সিলর। ২টার দিকে সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শ্যামল তাদের সাথে কথা বলতে চাইলে পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা তার সাথে কোনো কথা বলতে রাজী হয়নি। এসময় তারা জানিয়ে দেয়, নগরমাতা তথা মেয়র আইভী ছাড়া অন্য কারো সাথে কোনো কথা বলবে না তারা।

 

এর কিছুক্ষণ পরই বিভিন্ন ড্রামে করে ময়লা এনে নগরভবনের সামনে ফেলে দেয় পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা। ময়লা ফেলে এসময় আবারও বিক্ষোভ শুরু করে তারা।

 

পরবর্তীতে দুপুর আড়াইটার দিকে প্রথমে নারায়ণগঞ্জ সদর থানার ৫ জন পুলিশ সদস্য এসে তাদের তুলে দেয়ার চেষ্টা করে কিন্তু পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের প্রতিবাদের মুখে পিছু হঠে পুলিশ। পরে পুলিশের আরও বেশ কয়েকজন সাব ইন্সপেক্টর আসেন এবং তারাও ব্যর্থ হন, সর্বশেষ দুপুর ৩টার দিকে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনিচুর রহমান এসে তাদের সাথে কথা বলার চেষ্টা করেন।

 

এসময় আনিচুর বলেন, এসপি মহোদয় আমাকে বলেছে আপনাদের দাবি দাওয়ার বিষয়ে তাকে জানাতে। স্যারকে জানালে তিনি আপনাদের নিয়ে মেয়রের সাথে কথা বলবে কিন্তু আপনারা এখন নগরভবন ছেড়ে দেন।
আনিচুরের এমন বক্তব্যে প্রেক্ষিতে পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের নেতা শিমুল বলেন, আমরা আপনাকে সম্মান করি, আমরা পুলিশ সুপার স্যারকে স্যালুট জানাই। কিন্তু পুলিশ সুপার স্যার আমাদের বেতন বাড়ানোর মালিক নয়, বেতন বাড়ানোর মালিক নগরমাতা আইভী। তাই আমরা অন্য কারো কথা শুনতে চাইনা, নগরমাতা আইভী আমাদের অভিভাবক। তিনি নিজে এসে আমাদের সাথে কথা বলুক, আমাদের বেতন বাড়ানোর প্রতিশ্রæতি দেক, তাহলে আমরা যার যার বাসায় চলে যাবো।

 

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত এ কর্মকর্তা ব্যর্থ হয়ে নগরভবনের ভেতরে যান এবং মেয়রের সাথে কথা বলেন। অবশেষে কোনো উপায় না পেয়ে বিকেল ৪টার সময় মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী নীচে নেমে আসতে বাধ্য হন।

 

আরও সংবাদ
© ২০২৩ | সকল স্বত্ব সকাল নারায়ণগঞ্জ কর্তৃক সংরক্ষিত
DEVELOPED BY RIAZUL