২১ ফেব্রুয়ারী বাঙ্গালীর আত্মদান অধিকার বঞ্চিত মানুষের পথের দিশা হয়ে থাকবে- হাসিনা রহমান সিমু

  • সকাল নারায়ণগঞ্জঃ

 

 

 

২১ শে ফেব্রুয়ারী মহান ভাষা দিবস উপলক্ষে আনন্দধাম ১৩ নং ওয়ার্ড শাখার উদ্যোগে গলাচিপা মসজিদ সংলগ্ন কলেজ রোডে “ ৫২ এর ভাষা আন্দোলনে অধুনালুপ্ত চাষাঢ়া ইউনিয়নের ভূমিকা “- শীর্ষক এক আলোচনা অনুষ্ঠান ও আনন্দধাম ১৩ নং ওয়ার্ড শাখার কার্যনির্বাহী কমিটির পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত হয়।

 

আনন্দধাম ১৩ ওয়ার্ড শাখার সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম আল আমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানে মুখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আনন্দধামের নির্বাহী চেয়ারম্যান হাসিনা রহমান সিমু।

সাধারণ সম্পাদক পলাশ আহমেদের সঞ্চালনায় এ সময় আলোচনায়  অংশ গ্রহন করেন আনন্দধামের অতিরিক্ত চেয়ারম্যান মোঃ আজিজুল ইসলাম বাবু,বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠক এনামুল হক খোকা, প্রজন্ম ৭১ এর নেতা ফরিদ উদ্দিন রিপন, গলাচিপা মসজিদ উন্নয়ন কমিটির সাধারণ সম্পাদক  মাহাবুবুর রহমান,  আনন্দধামের পরিচালক খোকন গাজী,  শাহীন রেজা, ইলিয়াস মামুন, গলাচিপা জামে মসজিদের সম্মানিত ইমাম সহ এলাকার গণ্যমান্য।

সভায় আলোচক গন ৫২ এর ভাষা আন্দোলনে  নারায়ণগঞ্জ এর ইতিহাস তুলে চাষাঢ়া ইউনিয়নের ঐতিহাসিক ভুমিকা তুলে ধরে বলেন এই চাষাঢ়া ইউনিয়ন থেকেই তথা গলাচিপা থেকেই ২১ শে ফেব্রুয়ারীতে ঢাকায় ভাষার দাবীতে আন্দোলন রত সালাম বরকত সহ অনেককে হত্যার প্রতিবাদে বাংলাদেশে প্রথম প্রতিবাদ মিশিল বেড় হয়, যা পরবর্তীতে অগ্নিস্ফুলিঙ্গের মত সারা বাংলায় ছড়িয়ে পরে।

 

সভার মুখ্য আলোচক হাসিনা রহমান সিমু তার বক্তব্যে বলেন ৫২ এর সিড়ি বেয়েই আমাদের ৭১। আর একাত্তর মানে একটি স্বাধীন বাংলাদেশের অভুদ্বয়। তিনি বলেন ২১ ফেব্রুয়ারী বাঙ্গালির আত্মদান অধিকার বঞ্চিত মানুষের পথের দিশা হয়ে থাকবে। এ সময় তিনি স্বশ্রদ্ধচিত্তে ৫২ এর ভাষা আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী সবাইকে স্মরণ করে নতুন প্রজন্মের প্রতি জাতীয় স্বার্থে বাহান্ন ও একাত্তরের মত ঐক্য বদ্ধ থাকার আহবান জানান।

 

সভার দ্বিতীয় পর্বে আনন্দধামের নির্বাহী চেয়ারম্যান মো: আব্দুল কাইয়ুম আল আমিনকে সভাপতি ও পলাশ আহমেদকে সাধারণ সম্পাদক করে ১১ সদস্য বিশিষ্ট আনন্দধাম ১৩নং ওয়ার্ড কমিটি গঠন করা যায়। সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয় মো: শাহীন রেজা, ইলিয়াস মামুন, মির্জা মনির ও যুগ্ম সম্পাদক হিসেবে  মো: বাবু শিকদার, আবু সাইদ শাহীনের নাম ঘোষণা করা হয়।

 

অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে মহান ভাষা সৈনিকদের মধ্যে যারা ইন্তেকাল করেছেন তাদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে ও জীবিতদের সুস্বাস্থ্যের জন্যে বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করা হয়।