নারায়ণগঞ্জ শহরের বেশিরভাগ রাস্তায় বেপরোয়া হয়ে উঠেছে ছিনতাইকারী চক্র। দুপুর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত নগরীতে ছিনতাইয়ের ঘটনা বেশি ঘটছে। তবে পথে ওৎ পেতে থাকা ছিনতাইকারী দলের সদস্যরা দিনে-দুপুরেও ছিনতাই করছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতার মাঝেও বেড়েছে মোবাইল ছিনতাইয়ের ঘটনা।
গত শুক্রবার সন্ধ্যা ৭ টার দিকে চাষাঢ়া থেকে এক ভদ্র মহিলার কাছ থেকে মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়ার সময় ভুক্তভোগী নারী হাতেনাতে ও-ই মহিলা ছিনতাইকারী কে আটক করে।
ভুক্তভোগী জানান,আজ শুক্রবার, মুন্সীগন্জ আমাদের বান্ধবী লাবনীর বাসায় আমাদের পাঁচ বান্ধবীর দাওয়াত ছিল ।খুব ভালই দিনটি উপভোগ করেছি আমরা
ফেরার পথে সন্ধ্যা 7:00 সবাইকে বিদায় জানিয়ে আমি আর রিমা নারায়ণগঞ্জ,চাষাড়া থেকে রিকসায় উঠতে নেই জেলাপরিষদ নামব বলে
হঠাৎ রিমা দেখল যে ওর ব্যাগ থেকে 20 টাকা মাটিতে পড়ল তাকিয়ে দেখে ব্যাগের চেইন খোলা এবং মোবাইল নেই তখনি ওর পাশদিয়ে কালো বোরখা পড়া একজন মহিলা যাচ্ছিল ও তৎক্ষণাত ওনার হাত থেকে মোবাইল টা নিয়ে নেয়,উনি দৌড় দিতে নিলে আমি ওনাকে ধরে ফেলি।
উনি আপ্রাণ চেষ্টা করেন আমার হাত ছাড়াতে।সৌভাগ্যবশত বান্ধবীর বাসায় যা খেয়েছি তার থেকে প্রাপ্ত শক্তি কাজে লাগিয়ে প্রথমে ওনার ছবি তুলি এবং রিমা তিন চারটা থাপ্পর মারে ।
কিন্তু উপস্থিত লোকেরা কিচ্ছুটি বললেন না ।পাঁচ মিনিট পর একটি লোক এসে ওনাকে দুটি থাপ্পর দেন এবং মহিলাটি পালিয়ে যান।এক মিনিটের জন্য মনে হয়েছিল যে এই লোকটিও ওনার অর্থাৎ ছিনতাই দলের সদস্য কৌশলে ওনাকে ভাগিয়ে দিলেন।জানিনা আল্লাহই জানেন।
তবে আল্লাহর কাছে হাজার শুকরিয়া যে ওর ফোন টা নিতে পারেনি ।আলহামদুলিল্লাহ
ফোনের দাম 12990 টাকা কিন্তু ও টিউশন ফি জমিয়ে অনেক কষ্ট কর ফোনটি কিনেছে।
খোজ নিয়ে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাঢ়া সোনালী ব্যাংকের সামনে, জামতলা, কলেজ রোড, কালীবাজার, বাস টার্মিনাল, ২ নং রেলগেইট, দেওভোগ, পাইকপাড়া, নিতাইগঞ্জ সহ নানান স্থানে রাত হলেই বাড়ে ছিনতাইকারীদের উপদ্রব। এছাড়া দিনের বেলাতেও নানান চক্র সহজ সরল মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা লুটে নেয়।
ভুক্তভোগী মহিলা আরো জানান,এই মহিলা পকেটমার চক্রটি রাস্তা পারা-পারের সময় চক্রের ১০-১২ জন মিলে ধাক্কাধাক্কি করে আর একজন এই সুযোগে পকেটে হাত দিয়ে মোবাইল ফোন নিয়ে নেয়।