বিদ্যুৎ সংকটে সরকার ঘোষণা দিয়ে লোড শেডিং করলেও নারায়ণগঞ্জ শহরের ফুটপাতে অবৈধ সংযোগের মাধ্যমে বিদ্যুৎ চুরির মহোৎসব চলছে। সংঘবদ্ধ একটি চক্র বিদ্যুতের অবৈধ সংযোগ দিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা।
এতে করে সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব অন্যদিকে বিদ্যুৎ সংকটে ভুগছে বৈধ গ্রাহকরা। নারায়ণগঞ্জ শহরের ফুটপাতের সেই অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে অভিযান চালিয়ে ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ডিপিডিসি) ।
বুধবার (৩ আগষ্ট ) বিকেলে থেকে রাত আটটা পর্যন্ত শহরের চাষাড়া, বঙ্গবন্ধু সড়ক, সিরাজদ্দৌল্লা সড়ক, কালীরবাজার, দিগুবাবুরবাজার, শায়েস্তা খাঁ সড়ক, ২নং রেলগেইট ও ১নং রেলগেইট অভিযান চালিয়ে দুশতাধিক অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে ডিপিডিসি।
ডিপিডিসির এনওসিএস নারায়ণগঞ্জ (পূর্ব) এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. গোলাম মোরশেদ জানান, বিদ্যুৎ সাশ্রয় রোদে সরকার রাত আটটার মধ্যে দোকানপাট ও মার্কেট বন্ধ রাখার নির্দেশনায় দিয়েছেন।
রাত আটটার মধ্যে সকল দোকানপাট ও মার্কেট বন্ধ করতে হবে। আর তা নাহলে সেইসব মার্কেটের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হবে। বিদ্যুৎ সাশ্রয় রোদে সবাইকে সচেতন হতে হবে।
তিনি আরও বলেন, শহরের ফুটপাতে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগের কারণে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাচ্ছে। আমরা শহরের চাষাড়া, বঙ্গবন্ধু সড়ক, সিরাজদ্দৌল্লা সড়ক, কালীরবাজার, দিগুবাবুরবাজার, শায়েস্তা খাঁ সড়ক, ২নং রেলগেইট ও ১নং রেলগেইট অভিযান চালিয়ে দুশতাধিক অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।
যারা অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়েছে আমরা তাদের নাম ঠিকানা সংগ্রহ করছি। এবং তাদেরকে সতর্ক করে দিয়েছি। এরপরও যদি তারা অবৈধভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ চালায় প্রয়োজনে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে। আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
নির্বাহী প্রকৌশলী গোলাম মোরশেদের নেতৃত্বে এ সময়ে আরও উপস্থিত ছিলেন উপবিভাগীয় প্রকৌশলী রাকিবুল ইসলাম, সহকারী প্রকৌশলী মো. জোনায়েদ হাসান নাজমুল, উপ- সহকারী প্রকৌশলী নাসির উদ্দিন, উপ- সহকারী প্রকৌশলী ফিরোজ আহমেদ রানা, উপ- সহকারী প্রকৌশলী কুদরত আলী, নির্বাহী প্রকৌশলী (অতিঃ দায়িত্ব) মো. মশিদুল হক, সাব এসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার মো. রিয়াদ হোসেন, সাব এসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার মো.ফাইনুর ইসলাম প্রমুখ।