নারায়ণগঞ্জের আইনশৃংখলা পরিস্থিতি চরম অবণতি ঘটেছে । নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সামনে লাইন ধরে হাকডাক করে এক প্রকার হাট বাজারের মতো মাদক বিক্রির খবর এই নারায়ণগঞ্জের কারো অজানা নয়। এবার খোদ পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সামনে এক অজ্ঞাত যুবকের রক্তাক্ত নিথর দেহ পরে থাকতে দেখে একজন আইনজীবী নিজেই হাসপাতালে নিয়ে গেছেন । অথচ এই পুলিশ সুপার ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে সকাল থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত পুলিশের একাধিক সদস্য অটো রিক্সা ঠেকানোর নাম, করে শুধুমাত্র মটর সাইকেল আটক করে বাণিজ্য করার অসংখ্য ভিডিও চিত্র রযেছে গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে ।
আইনশৃংখলা পরিস্থিতি নিয়ে কোন সংবাদ প্রকাশ করা হলে গণমাধ্যমকর্মীদের নানাভাবে হুমকির ঘটনার কারণে অনেক সংবাদকর্মী এমন অপরাদের বিষয়গুলি এড়িযে চলেন । আবার গণমাধ্যম কর্মীর নাম ব্যবহার করে কোন কোন দালাল নানাভাবে প্রকৃত ঘটনা আড়াল করতেও সদা তৎপর থাকতেও দেখা যায় । অতি সম্প্রতি একজন সিনিয়র সাংবাদিককেও হুমকির ঘটনা ব্যাপক সমালোচনার ঝড় উঠেছে
জানা যায়, ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ ।
রোববার (৩১ জুলাই) রাত ৭টায় নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার (এসপি) কার্যালয়ের কাছ থেকে ওই মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী আইনজীবী সহকারী সিদ্দিকুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, কোর্ট থেকে কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে পুলিশ সুপার কার্যালয়ের বরাবর লিংক রোডে একটি যুবক বয়সের ছেলেকে রক্তাক্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। কে বা কারা তাকে জখম করেছে। তাকে ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেছেন।
তিনি আরো বলেন, ছেলেটির পড়নে ফুল প্যান্ট ও ফুল হাতা শার্ট ছিল। তার নাম পরিচয় বলতে পারিনা।
ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক সাবিনা ইয়াসমিন জানান, হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই ছেলেটি মারা গেছে। তার বুকে জখম রয়েছে। ছেলেটির নাম মোঃস্বজিব,পিতা-মোঃকামাল,ঠিকানা-চাষাঢ়া (চকলেট ফেক্টরি),ব্যাংক কলোনী।
ফতুল্লা মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ রিজাউল হক জানান, খবর পেয়ে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। নিহতের নাম পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে।