যে দেশের মানুষের জন্য বঙ্গবন্ধু সারা জীবন উৎসর্গকরল, সেই বাঙালির হাতেই স্বপরিবারে জীবন দিতে হল। এ ঘটনা জাতীয় জীবনের সবচেয়ে কলঙ্কিত অধ্যায়। জাতির পিতাকে হত্যা করে দেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে যারা ছিনিমিনি খেলেছিলো, তারা যেন আর ক্ষমতায় আসতে না পারে সেদিকে দেশবাসীকে নজর রাখতে বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার সকালে জাতীয় শোকদিবস উপলক্ষ্যে কৃষকলীগের রক্তদান কর্মসূচীর অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। এসময় তিনি ভবিষ্যতে বাংলাদেশ যাতে বিপদে না পড়ে সেজন্য জ্বালানি সাশ্রয়ে আগাম উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন।
এসময় প্রধানমন্ত্রী লোডশেডিং এর প্রতিবাদে বিএনপির করা সম্প্রতি হারিকেন নিয়ে আন্দোলনের সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, এখন দেশে বিদ্যুৎ সাশ্রয় করা হচ্ছে। তার মানে এই নয় যে, এখান থেকে লুটপাট করা হচ্ছে। এক সময় বিএনপি নেতারা হারিকেন নিয়ে আন্দোলন করতো। এখন তাদের হাতে হারিকেন ধরিয়ে দেয়া দরকার। তাদের হাতে হারিকেনই থাকুক, দেশের মানুষকে নিরাপদে রাখবে আওয়ামী লীগ।
এছাড়া সদ্য প্রকাশিত জনশুমারি রিপোর্টে সাড়ে ১৬ কোটি জনসংখ্যার হিসাব যারা মেনে নিতে পারছে না তাদেরও কড়া সমালোচনা করেন সরকার প্রধান। শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের জনসংখ্যা এখন সাড়ে ১৬ কোটি। এই জনসংখ্যার হিসেবও কারো কারো পছন্দ হয় না। কেন? তাহলে তারা নিজেরাই সন্তান জন্ম দিক, আমরা খাবার দেবো। আমরা চাই, প্রতিটি পরিবার সুখী সমৃদ্ধ হবে। আমরা সে কাজটি করে যাচ্ছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কারো এক ইঞ্চি জমি যেন খালি না থাকে। সকলে কাজ করবে। যেখানে যত খালি যায়গা, সেখানে উৎপানের কাজ করবে। আওয়ামী লীগের প্রতিটি নেতাকর্মীকেও এটি করতে হবে। পাশাপাশি দেশের মানুষকে এই কাজে উদ্বুদ্ধ করতে হবে।
এসময় নেতাকর্মীদের রক্তদানে উৎসাহিত করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, জাতির পিতার আদর্শের প্রতিটি নেতাকর্মী মানুষের সেবায় সব সময় পাশে থাকবে নিবেদিত প্রাণ হয়ে।