সিদ্ধিরগঞ্জে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে পুলিশের সামনেই এস এম আমিনুল হকের উপর হামলা চালিয়েছে চিহ্নিত সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, ভুমিদস্যু, কিশোরগ্যাং লিডার ও মাদক সিন্ডিকেটের অন্যতম হোতা, একাধিক মামলার আসামী তানজীম কবির সজু বাহিনী।
এসময় একটি প্রাইভেটকার ভাংচুর করেছে সজু বাহিনী। বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) দিবাগত রাত সোয়া ১০টায় সিদ্ধিরগঞ্জের কদমতলী গ্যাস লাইন এলাকায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) দেবাশিষ কুন্ডু সঙ্গীয় ফোর্সের সামনে এ ঘটনাটি ঘটে।
রাতেই আমিনুল ইসলাম বাদীয় হয়ে সন্ত্রাসী সজুকে প্রধান করে ১০ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগ নং-৩৭৮৯।
এরআগে একই দিন রাতে সজু বাহিনী এস এম আমিনুল ইসলামের মালিকানাধীন বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাড়াটিয়াদের মারধর করে এবং অফিসের তালা ভেঙ্গে ফেলে। হামলায় আমিনুল ইসলামের ম্যানেজার বাবু পায়ে গুরুতর আঘাত প্রাপ্ত হয়ে পা ভেঙ্গে যায়।
অভিযুক্তরা হলো, সিদ্ধিরগঞ্জের কদমতলী উত্তরপাড়া এলাকার মৃত বিএনপি নেতা হুমায়ুন কবিরের ছেলে তানজীম কবির সজু (৩৫), মিজমিজি পাগলা বাড়ী এলাকার কিসমত আলীর ছেলে মিলন (৩২), কদমতলী গ্যাস লাইন এলাকার দেলোয়ার হোসেন দেলুর ছেলে রনি (৪০), পাগলা বাড়ি এলাকার আ: রব কুট্টি মিয়ার ছেলে আরাফাত বাবু (৩০), কদমতলী উত্তরপাড়া এলাকার সেলিম (৩৪), পাগলা বাড়ী এলাকার বজলুর রহমানের ছেলে বিল্লাল (৩২), কদমতলী জব্বার গার্ডেন এলাকার খালেক সর্দারের ছেলে মহসীন (৩৫), মিজমিজি চৌধুরীপাড়া এলাকার এছরাইল হোসেনের ছেলে আলী মর্তুজা (৬৫), মিজমিজির জয়নাল বেপারীর ছেলে স্বপন (৩২) ও কদমতলীর আসাদুজ্জামান (৪০)।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্তদের সাথে পূর্ব থেকে তার জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধ রয়েছে। উক্ত বিরোধের জের ধরে বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ১০টায় গ্যাস লাইন এলাকার তার বাড়িতে তারা হামলা চালিয়ে অবস্থান নেয়। খবর পেয়ে সে তার বাড়ির অফিসে গিয়ে দেখে তার অফিসের তালা ভাংগা এবং তার বাড়ির ভাড়াটিয়াদের মারধর করে।
পরে সে সজুর কাছে তার লোকজনদেরকে মারধরের কারণ জানতে চাইলে অভিযুক্তরা তার ম্যানেজারকেও মারধর করে আহত করে। খবর পেয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) দেবাশীষ কুন্ড ঘটনাস্থলে আসে। পুলিশ দেখে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে সবাই একত্রি হয়ে অতর্কিত তার প্রাইভেটকারটি ভাংচুর করে।
পরে পুলিশ আমিনুল ইসলামকে হামলাকারীদের কাছ থেকে হেফাজতে নিয়ে রক্ষা করে। তারা পূর্ব থেকেই তাকে হুমকি ও প্রান নাশের চেষ্টা করছে বলে আমিনুল হক অভিযোগ করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, আমিনুল ইসলামের প্রাইভেটকারটি ভাংচুরের সময় পুলিশের সাথেও হামলা কারীদের দস্তা-দস্তি হয় এবং তারা পুলিশ সদস্যদেরকেও অকথ্য ভাষায় গালি-গালাজ করেছে বলেও জানা গেছে।
এ ব্যাপারে ঘটনাস্থলে যাওয়া সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) দেবাশীষ কুন্ড জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনি। আমরা ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই তারা গাড়ীটি ভাংচুর করেছে। আমাদের সামনে এ ঘটনা ঘটেনি আর আমাদের সাথে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মশিউর রহমান (পিপিএম-বার) জানান, গাড়ি ভাংচুরের ঘটনায় থানায় মামলা হচ্ছে।