সিদ্ধিরগঞ্জে বেপরোয়া ড্রাইভিং করতে গিয়ে প্রাইভেটকার ও অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনায় অটো চালকসহ ৪ জন আহত হয়েছেন।
গুরুতর আহত অটোরিকশার চালক মো. রতন (২৬) কে আশংকাজনক অবস্থায় খানপুর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন কর্তব্যরত ডাক্তার।
বাকি আহতরা প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে চলে যান। তাদের নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১ টার সময় সিদ্ধিরগঞ্জের কদমতলী গ্যাসলাইন এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতেই ক্ষতিগ্রস্থ অটোরিকশার মালিক মো. আল আমিন (৩৮) বাদি হয়ে প্রাইভেটকারের মালিক মো. টুটুল (৩৬) এর বিরুদ্ধে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
অভিযোগসূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী অটোরিকশা চালক বৃহস্পতিবার রাতে তিন জন যাত্রী নিয়ে কদমতলী গ্যাসলাইন এলাকার দিকে যাচ্ছিলেন।
এসময় বিপরীত দিক থেকে নিজস্ব প্রাইভেটকারযোগে আসা অভিযুক্ত টুটুল বেপরোয়াভাবে দ্রুত গতিতে এসে অটোরিকশাকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে ধাক্কা লেগে অটোরিকশাটি দুমড়ে মুচড়ে যায়। এসময় অটো চালকসহ ৪ জন আহত হয়েছেন।
অটোরিকশার মালিক মো. আল আমিন অভিযোগে আরও উল্লেখ করেন তার অটোরিকশার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
এদিকে ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত ব্যক্তি প্রায় সময়ই বেপোরোয়া অবস্থায় ওই এলাকা দিয়ে গাড়ি চালিয়ে আসা যাওয়া করেন। স্থানীয়রা জানান এটা একটি ঘনবসতি এলাকা। এখানে সকল প্রকার গাড়ি ধীরে ধীরে চলাচল করে।
কিন্তু বৃহস্পতিবার রাতেও সে বেপরোয়া ভাবে দ্রুত গতিতে গাড়ি চালাতে গিয়ে অটোরিকশার সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় তার। এতে অটোরিকশা চালকসহ তিন যাত্রী আহত হয়। এর মধ্যে অটোরিকশা চালক গুরুতর আহত হন।
এসময় আহতদের ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা এসে অভিযুক্ত টুটুলকে তার গাড়িসহ অবরুদ্ধ করে রাখে। তখন অভিযুক্ত নিজেকে বাঁচাতে সেখানে উপস্থিত জনতার উপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে পালানোর চেষ্টা করলে একপর্যায়ে উত্তেজিত জনতা অভিযুক্তের গাড়ির দুটি গ্লাস ভাংচুর করে এবং তাকে অবরুদ্ধ করে রাখে।
এ বিষয়ে ঘটনাস্থলে আসা সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) দেবাশীষ কুন্ডু বলেন, তেমন কোন ঘটনা ঘটেনি। অভিযোগের বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। এ বিষয়ে এখনি কোন কিছু বলা যাচ্ছে না বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা