প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পরনির্ভরশীলতা কমিয়ে রপ্তানি নির্ভর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের দিকে গুরুত্ব দিতে হবে। শুধু রেমিট্যান্সের ওপর নির্ভরশীল না হয়ে নতুন নতুন বাজার খুঁজে পণ্য রপ্তানি করতে হবে।
বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) সকালে দেশের বিভিন্ন স্থানে ২৪টি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের (টিটিসি) উদ্বোধন অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, শুধু রেমিট্যান্সের ওপর নির্ভরশীল না হয়ে নতুন নতুন বাজার খুঁজে পণ্য রপ্তানি করতে হবে। দক্ষ জনশক্তি তৈরি করতে হবে। বিদেশ থেকে টাকা পাঠানোর সহজ উপায় তৈরি করতে হবে। এজন্য প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে যৌথভাবে উদ্যোগ নিতে বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, অনেক প্রবাসী টাকা ব্যাংকের মাধ্যমে পাঠানোর সুযোগ পায় না, তাই বৈধভাবে এ অর্থ দেশে আনার সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা পাঠানোর সুবিধা না পাওয়ায় তাদের নির্ভর করতে হয় হুন্ডির ওপর। শ্রমিকদের কষ্টার্জিত টাকা তারা পকেটস্থ করে এবং কিছু টাকা দেশে পাঠায়। কিন্তু ব্যাংকের মাধ্যমে পাঠালে সেটা নিরাপদ থাকে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাস আমাদের মোকাবিলা করতে হয়েছে। তারপর শুরু হয়েছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। এই যুদ্ধে আমি দেখতে পাচ্ছি যারা অস্ত্র উৎপাদন করে তারাই লাভবান হচ্ছে। সারা বিশ্বের মানুষ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। উন্নত দেশগুলো জ্বালানি সাশ্রয়ের উদ্যোগ নিয়েছে, আমরাও নিয়েছি।
সরকারপ্রধান বলেন, আমাদের জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৫১ লাখ। সেখানে ৩৮ শতাংশ যুবসমাজ। এই যুবসমাজকে আমরা শুধু বিদেশে পাঠাব এটা ভাবলে চলবে না। আমরা দেশে যে অর্থনৈতিক অঞ্চল করছি সেখানেও দক্ষ জনশক্তি লাগবে। কাজেই আমরা প্রশিক্ষণ দেব, বিদেশের পাশাপাশি দেশেও কাজ করবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা গৃহকর্মী পাঠাই। তাদের আমরা প্রশিক্ষণ দেই। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় হলো, আমরা যে প্রশিক্ষণটা দেই, সেটা তারা যথাযথভাবে নেয় না। প্রশিক্ষণ নেওয়ার সময় যে টাকাটা দেওয়া হয়, সেটা নেয়। কিন্তু প্রশিক্ষণটা নেয় না। পরে বিদেশে গিয়ে বিপদে পড়ে।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, জনশক্তি কর্মসংস্থান প্রশিক্ষণ ব্যুরোর মহাপরিচালক মো. শহীদুল আলম। স্বাগত বক্তব্য রাখেন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন