সকাল নারায়ণগঞ্জ
ফতুল্লার মুসলিমনগর এলাকায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনার ১০দিন পর এক পক্ষের মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ছাত্রলীগ নেতা আরিফুলকে হত্যার উদ্দেশে দাড়ালো ছুড়িকাঘাত করার ঘটনায় মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক উপ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক মেহেদী হাসান প্রিন্সকে প্রধান আসামী করে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছে।
তবে এখনো পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। তবে দুই ছাত্রলীগ নেতা প্রভাবশালী দুই নেতার রাজনীতি করার সুবাধে এলাকায় প্রভাব বিস্তার সহ নানা অপকর্ম করে বেড়ায় বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।
শুক্রবার (১৫ জুলাই) রাতে ছাত্রলীগ নেতা আরিফুলের বাবা আলী আহম্মেদ বাদী হয়ে প্রিন্স মেহেদীকে প্রধান করে ৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ৫/৬ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়। মামলার অন্য আসামীরা হলে ফয়সাল, আকাশ, মিলন, শাওন, রাজু।
এদিকে মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক উপ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক মেহেদী হাসান প্রিন্স ওরফে প্রিন্স মেহেদী মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও তোলারাম কলেজের ভিপি রিয়াদ এর বলয়ে রাজনীতি করে আর আরিফুল ফতুল্লা থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ মান্নানের বলয়ে রাজনীতি করে। তারা ছাত্রলীগের পরিচয় দিয়ে এলাকায় মাদক ব্যবসাসহ নানা অপরাধ কর্মকান্ড করে বেড়ায়।
এলাকাবাসী ও মামলার সূত্রে জানা যায়, প্রিন্স মেহেদী নারায়ণগঞ্জ সরকারী তোলারাম কলেজের ভিপি রিয়াদ এর সাথে সু-সম্পর্ক হওয়ার সুবাধে মেহেদী তোলারাম কলেজে ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি করিয়ে দেয়ার ক্ষমতা রাখে বলে প্রচার করে। আর সেই সুবাধে আরিফুল তার কিছু বন্ধুদের বিবিএ ২য় বর্ষে কলেজে ভর্তি করার জন্য প্রিন্স মেহেদীকে বলে।
পরে প্রিন্স ভর্তি করানো কথা বলে এক লাখ টাকা নেয়। ভর্তির সময় অতিবাহিত হতে চললেও ভর্তি করাতে ব্যর্থ হওয়ায় প্রিন্স মেহেদীর কাছে দেয়া এক লাখ টাকা ফেরৎ চায় আরিফুল। টাকা ফেরৎ না দিয়ে আরিফুলকে উল্টো হুমকি দেয় মেহেদী। এই নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়।
গত ৬ জুলাই রাতে মুসলিমনগর আদর্শপাড়ায় আরিফুল প্রিন্স মেহেদীকে রাস্তায় পেয়ে টাকা চাইতে গেলে তাদের মধ্যে তর্কবিতর্ক হয়। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এসময় প্রিন্স মেহেদী সহ তার বাহিনীর লোকজন ধাড়ালো ছোড়া দিয়ে আরিফুলের পেটে আঘাত করে এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধাড়ালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে।
পরে স্থানীয় লোকজন আরিফুলকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করে। ঘটনার পর আরিফুলের বাবা আলী আহম্মেদ বাদী ছাত্রলীগ নেতা প্রিন্স মেহেদীকে প্রধান আসামী করে মামলা দায়ের করে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফতুল্লা মডেল থানার পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাইফুল ইসলাম মামলা দায়েরের বিষয় নিশ্চিত করে জানান, আসামীদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।