সকাল নারায়ণগঞ্জ
সাভার ট্যানারি শিল্প নগরীসহ রাজধানীর বিভিন্ন আড়তগুলোতে আজও চামড়া সরবরাহ করছেন মৌসুমী ব্যবসায়ীরা।
আড়তদাররা বড় গরুর চামড়াগুলো কিনছেন সাত থেকে আটশ টাকায়। তবে ঢাকার বাইরে আরও কম দামে বিক্রি হচ্ছে গরু ও ছাগলের চামড়া। কোথাও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বেধে দেয়া মূল্যে চামড়া বিক্রি হতে দেখা যায়নি। সবখানে বিক্রি হয়েছে পিস হিসেবে।
গতকাল রাজধানীর কিছু কিছু এলাকায় শিল্প মন্ত্রণালয় ও ভোক্তা অধিকারের তদারকি থাকলেও আজকে মাঠ পর্যায়ে তেমন কোনো নজরদারি চোখে পড়েনি। আমিনবাজার আড়তে চামড়া বেচাকেনাকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনার খবরও পাওয়া গেছে। এছাড়া চামড়া সংরক্ষণ সংক্রান্ত কোনো জটিলতা নেই বলে জানিয়েছেন শিল্প সচিব জাকিয়া সুলতানা। তিনি বলেছেন, লবণের দাম কিছুটা বাড়লেও, কোনো সংকট নেই।
ঢাকার বাইরে চামড়া বিক্রি হচ্ছে আরও কম দামে। সিলেটে গতকাল বড় আকারের গরুর চামড়া ৪৫০ ও ছোট গরুর চামড়া ২০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। আর বিকেলে বড়–ছোট সব ধরনের গরুর চামড়া ২০০ টাকার কম দামে বিক্রি হয়েছে। কোথাও কোথাও ছাগলের চামড়া বিনামূল্যেও ব্যবসায়ীদের দিয়ে দিয়েছেন কোরবানিদাতারা। এছাড়া ২০ টাকা দামেও ছাগলের চামড়া বিক্রি হতে দেখা গেছে।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ঢাকায় লবণযুক্ত চামড়া প্রতি বর্গফুট ৪৭ থেকে ৫২ টাকা, ঢাকার বাইরে ৪০ থেকে ৪৪ টাকা, সারাদেশে লবণযুক্ত খাসির চামড়ার প্রতি বর্গফুট ১৮ থেকে ২০ টাকা এবং ছাগলের চামড়ার দর প্রতি বর্গফুট ১২ থেকে ১৪ টাকা নির্ধারণ করে দেয়।