সকাল নারায়ণগঞ্জ:
মাত্র কুঁড়ি বয়সেই আত্ন-জীবনি।
রাইয়ান চৌধুরী,যিনি প্রায় দুই বছরের চেষ্টায় মাত্র বিশ বছর বয়সেই এখন পর্যন্ত তার জীবনের ঘটে যাওয়া সবচেয়ে খারাপ সময় ,”২০১৮ সালের” একটি কাহিনী ফুটিয়ে তুলেছেন মাত্র ষাট পেজের ‘জীবন বদলানো সে চিকিৎসা'(আত্ন জীবনি)বইটিতে ।
এটি একটি আত্ন-জীবনি মূলক বই।এ-ফোর পেপারে মাত্র তেইশ পেজ লিখেছিলো বলে কোনো প্রকাশনী তার লিখা টি আমলে নেয়নি। সবাই বলতো আরো বড় করে লিখে আনতে। কিন্তু সবাই তো বড় করে লিখে। সবার মতো হলে এখানে ব্যতিক্রম কি হলো।আর ছোট লিখলে দোষই বা কী?সে জিদ ধরেই তার টার্গেট বইটিকে এমন ভাবে সাজানো যেন মানুষ এক বসায় বইটি পড়ে শেষ করতে পারে এবং এ কাজটি তিনি করেছেন সম্পূর্ণ নিজ উদ্যোগে এবং নিজ খরচে।
বই এর লেখক- প্রথমেই বলতে চাই সকল প্রশংসা
আল্লাহর জন্য।
অবশ্যই ধন্যবাদ জানাই জয় বাংলা ক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক ওয়াসিকুল ইসলাম সানি ভাইকে।কারণ সে সাহস দিয়েছিল বলেই আমি উদ্যোগটি নিতে সাহস পাই।
এ বইটি লিখা নিয়ে প্রথমে লোকে কী বলবে এ বিষয়টি অনেক ভাবতে হলেও বইটি প্রকাশ হওয়ার পর মানুষের দেয়া বাহভা কনফিডেন্স লেভেল অনেকটা বারিয়ে দেয়। লজ্জার ব্যাপারটাও খুব সহজেই কাটিয়ে উঠতে পারি।তবে একটা কথা না বললেই না। লজ্জার ব্যাপারটা থেকে বের হয়ে আসার পেছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে নারায়ণগঞ্জ কলেজের স্কাউট টিমের এক বড় ভাই।
কলেজের বিভিন্ন প্রকল্প উদ্বোধনী এক অনুষ্ঠানে যার সাথে পরিচয় হওয়ার ২/৩ মিনিটের ব্যবধানে সে আমাকে কলেজের পুরো স্কাউট টিমের সামনে দাঁড় করিয়ে দেয় বইটি নিয়ে কিছু বলার জন্য। কোনো প্রিপারেশন ছাড়া এভাবে ছোট বড় ৮০-৯০ জন ছেলে মেয়েদের সামনে কথা বলতে কিছুটা ভয় পেলেও যখন দেখলাম সকলে আমার কথা খুব মনোযোগ দিয়ে শুনছে তখন আমার মধ্যে থেকে ভয় আর লজ্জা নিমিষেই পালিয়ে যায়।তাদের সামনে দাঁড়িয়ে প্রায় ১৫ মিনিট আমার বইটি নিয়ে আলোচনা করেছিলাম।যদিও পরে মনে হয়েছিল সময়টা আরো বেশি পেলে ভালো হতো। তবে একটা কথা কোনদিনও ভুলবার মতো নয়,তা হলো আমাকে উদ্দেশ্য করে দেয়া “স্কাউট সম্মাননা”।
আর সেদিনই আমার বই প্রথম বিক্রি হয়। সেদিন মাননীয় সংসদ সদস্য জনাব এ কে এম সেলিম ওসমান স্যারের হাতে আমার বইটি উন্মোচন হওয়ার কথা থাকলেও সময়ের অভাবে তা সম্ভব হয়নি।সে জন্য মন খারাপ থাকলেও নারায়ণগঞ্জ কলেজের স্কাউট টিম সে মন খারাপ নিয়ে বাড়ি আসার কোনো সুযোগ দেয়নি। সবচেয়ে ভালো লেগেছিল বাসায় ফেরার সময় যখন অনেকেই বইয়ে আমার সাইন নেয়ার জন্য আমাকে ঘিরে ধরে।
প্রথম লিখা হিসেবে বইতে অনেক ভুল আছে সেটা আমিও জানি। সেজন্য আশা করি সকলে আমাকে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
বইটি মূলত আমার জীবনের এক অসুস্থ কালিন ও তার আগে-পরের সময়কে ভিক্তি করে লিখা।যখন আমি মুখোমুখি হই নানা সব নতুন অভিজ্ঞতার। গড়ে উঠে নতুন নতুন নানা অভ্যাস। বাস্তব সম্পর্কিত ও সহজ ভাষায় লিখা বইটি পড়লে আশা করি সকলেই তা বুঝতে পারবেন। এতোটুকু বলতে পারি বইটি মানুষের জীবনে বিন্দুমাত্র হলেও কাজে দিবে।বইটি নিতে আপনারা আমার ফেসবুক একাউন্টে ( Raiyan Chowdhury Rabbi -https://www.facebook.com/raiyan.chowdhury.167 ) নক করতে পারেন।আমাকে নতুন নতুন পথ দেখানো ও বইটি প্রকাশে বিভিন্ন প্রকাশনীর কাছে আমি সাহায্য প্রার্থী।
সবশেষে একটাই কথা, সকলে দোয়া করবেন যেন সামনে এগিয়ে যেতে পারি। সত্যিকার মানুষ হতে পারি।