নারায়ণগঞ্জে অনুদান সংস্থার নাম করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়া প্রতারক চক্রের মূলহোতা ফখরুজ্জামান ওরফে তপু ভূঁইয়াকে (৪৪) গ্রেফতার করেছে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন।
সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান র্যাব ১১ এর এএসপি মোঃ রিজওয়ান সাঈদ জিকু।
১১ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাতে আড়াইহাজার থানাধীন বড় বিনাইরচর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তপু ভূঁইয়াকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামি নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানার বড় বিনাইরচর এলাকার মহিবুর রহমান ভূইয়ার ছেলে।
জানা যায়, গ্রেফতারকৃত আসামি ফখরুজ্জামান একজন পেশাদার প্রতারক। তিনি ও তার সহযোগীরা পরস্পর যোগসাজসে দাতা সংস্থার আড়ালে সহজ সরল সাধারণ জনগনের নিকট থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। গত ০৮ মে তারিখে প্রতারক চক্রের মূলহোতা ফখরুজ্জামান ও তার সহযোগীরা লক্ষীপুর এ অবস্থিত খিলবাইছা রহমানিয়া মাদ্রাসার ভাইস প্রিন্সিপালের নিকট নিজেদেরকে অনুদান সংস্থার লোক পরিচয় দিয়ে, মাদ্রাসার উন্নয়নের জন্য ইলেকট্রিক মালামাল ক্রয় করে দেয়ার প্রলোভন দেখায়। সেই হিসেবে ভাইস প্রিন্সিপাল হুমায়ুন কবির তাদেরকে একটি ইলেকট্রিক দোকানে নিয়ে যায়। আসামিরা সেই দোকান থেকে ২ লাখ টাকার মালামাল ক্রয় করে এবং ইলেকট্রিক পণ্য ক্রয়ের মূল্য পরিশোধের নিমিত্তে ইসলামী ব্যাংক মতিঝিল শাখার একটি চেক প্রদান করে।
পরবর্তীতে ভূক্তভুগী ইলেকট্রিক ব্যবসায়ী উক্ত চেক নিয়ে ইসলামী ব্যাংকের লক্ষীপুর শাখায় গেলে জানতে পারেন উক্ত একাউন্টে কোন টাকা নেই। উক্ত ইলেকট্রিক ব্যবসায়ীর মনে সন্দেহ হলে আসামির মোবাইল নাম্বারে ফোন দিলে তা বন্ধ দেখায়। সেসময় মাদ্রাসার ভাইস প্রিন্সিপালের সাথে ইলেকট্রিক ব্যবসায়ী যোগাযোগ করলে জানতে পারেন যে, তিনি মূলত তাদের চেনেন না এবং তারা দাতা সংস্থার লোক বলে মাদ্রাসার উন্নয়নের কথা বলে তার সাথে পরিচিত হন। প্রতারক চক্রটি ইলেকট্রিক ব্যবসায়ীর দোকান থেকে ক্রয়কৃত ইলেকট্রিক পন্য উক্ত মাদ্রাসার উন্নয়নের জন্য প্রদানের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সেই পণ্য মাদ্রাসার উন্নয়নে না দিয়ে সকল ইলেকট্রিক পন্য নিয়ে চক্রের সবাই পলায়ন করেন।
তপু ভূঁইয়া এর বিরুদ্ধে ইতোপূর্বে আড়াইহাজার থানাসহ বিভিন্ন থানায় ০৭ টি প্রতারনার মামলা রয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামির বিরুদ্ধে লক্ষীপুর থানায় এ সংক্রান্তে একটি মামলা হয়েছে।