নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের পুরস্কার ঘোষিত মাদক ব্যবসায়ী জনি ওরফে ব্লাক জনিকে (৩৫) মদনগঞ্জ ফাঁড়ী পুলিশ বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে গ্রেফতার করেছে।
রবিবার(১১ সেপ্টেম্বর) ভোর রাতে উপজেলা’র কলাগাছিয়া ইউনিয়ন এর মোহনপুর কবরস্থানের পাশে অবস্থিত একটি টিনশেড ঘরের ভিতর থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
বন্দর থানা পুলিশ সূত্রে জানাগেছে, রবিবার ১১ সেপ্টেম্বর ভোর রাত সাড়ে ৩ টায় মদনগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ি’র এস আই (নিঃ) সিহাব আহমেদসহ সঙ্গীয়ফোর্স গোপন সংবাদের ভিওিতে কলাগাছিয়া ইউনিয়ন’র মোহনপুর কবরস্থান’র পাশ্বের ছাপড়া টিনের ঘরে অভিযান পরিচালনা করে। এসময় পুলিশ’র আগমনী টের পেয়ে দুই মাদক কারবারী পালিয়ে গেলেও জেলা পুলিশ’র তালিকাভুক্ত শীর্ষ মাদক সম্রাট মোঃ মতিউর রহমান জনি ওরফে ব্লাক জনি (৩৫)’কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। এসময় ঐ ঘরের ভিতর হতে সাড়ে ৩৬ ইঞ্চি ও ৩১ ইঞ্চি লম্বা ২ টি তলোয়ার, ২৮ ইঞ্চি লম্বা ১ টি রামদা, সাড়ে ২৭ ইঞ্চি ও ২৭ ইঞ্চি এবং ১৪ ইঞ্চি লম্বা ৩ টি ধারালো ছোরাসহ ২০ ইঞ্চি লম্বা ১ টি চন্দ্র কুড়াল উদ্ধার করা হয়। এছাড়া গ্রেফতারকৃতর কাছ থেকে ২২০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট ও ২০ গ্রাম (১’শ পুরিয়া) হেরোইন উদ্ধার করে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত জনি একই ইউনিয়ন’র সুচিয়ার বন্দ এলাকার আমান উল্লা ওরফে আমু মিয়ার ছেলে।
উদ্ধার অভিযান এর নেতৃত্বদানকারী এস আই সিহাব আহমেদ বাদী হয়ে গতকাল জনিসহ পলাতক ২ জনের নামে অস্ত্র আইন ও মাদক আইনে বন্দর থানায় পৃথক মামলা রুজু করে। যার মামলা নং- ২০ (৯) ২২, তাং-১১/৯/২২, ধারা-১৮৭৮সালের অস্ত্র আইনের ১৯(|) ও মামলা নং-২১(৯)২২, তাং-১১/৯/২২, ধারা-মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮ এর ৪১/৩৬(১) সারণীর ১০(ক)/৩৬(১) সারণীর ৮(খ)।
এছাড়াও গ্রেফতারকৃত জনির বিরুদ্ধে সদর মডেল থানার মাদক মামলার ১টি, বন্দর থানার মাদক ও মারামারি মামলার ওয়ারেন্ট রয়েছে।
গ্রেফতারকৃতকে অস্ত্র ও মাদক মামলায় ৭ দিন করে রিমান্ড প্রার্থনা করে গতকাল দুপুরে তাকে আদালতে প্রেরণ করেছে থানা পুলিশ।