সিদ্ধিরগঞ্জে গৃহবধু পিয়াসী আক্তার (২১) ক হত্যা করা হয়েছে এমন দাবিতে তার লাশ নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছে এলাকাবাসী। মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) বিকালে সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি বাতানপাড়া এলাকায় লাশ নিয়ে আসামিদের ফাঁসির দাবিতে এ বিক্ষোভ করে এলাকাবাসী।
এরআগে সোমবার সোনারগাঁয়ের মোগরাপাড়ার ইউছুফগঞ্জ কামরুল ফকিরের বাড়ি থেকে পিয়াসী আক্তার (২১) এর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় পুলিশ নিহত পিয়াসী আক্তারের স্বামী ওমর ফারুক (৩৮) ও বড় ভাই মো. বিল্লাল হোসাইন (৪৫) কে গ্রেপ্তার করেছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি বাতানপাড়া মাদ্রাসারোড এলাকার মৃত সুরুজ মিয়ার ছেলে। নিহতের স্বজনদের দাবি তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। নিহত পিয়াসী আক্তার মিজমিজি ক্যানালপাড় এলাকার মৃত নিজাম উদ্দিনের মেয়ে।
নিহত পিয়াসী আক্তারের মা মাহমুদা আক্তার শিল্পী জানান, প্রায় ২ বছর পূর্বে পিয়াসী আক্তারের সাথে পারিবারিক ভাবে ওমর ফারুকের বিবাহ হয়। ওমর ফারুক বিবাহের পূর্বে একটি ও পরে আরো দুইটি বিয়ে করেছিলো। এ নিয়ে তাদের মধ্যে প্রতিনিয়ত ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাকতো। এ ঘটনায় আমরা আদালতে একটি নারী নির্যাতন মামলা করি।
এক সপ্তাহে পূর্বে আপোষ মিমাংসা করার কথা বললে আমরা মামলা তুলে নেই। এরপর ৫/৬ দিন পূর্বে তার স্বামী ওমর ফারুক পিয়াসী আক্তারকে নিয়ে সোনারগাঁয়ের মোগরাপাড়ার ইউছুফগঞ্জ এলাকার কামরুল ফকিরের বাড়িতে বাসা ভাড়া নেয়।
সোমবার পুলিশের ফোন পেয়ে জানতে পারি, আমার মেয়ে ঘরের সিলিং ফ্যানের সাথে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে। কিন্তু আমাদের দাবি আমার মেয়ে আত্মহত্যা করে নাই। তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।
নিহতের ফুপা জামাল মোল্লা জানান, ওমর ফারুকের বড় ভাই দেলোয়ার হোসেন ২০১৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর একইভাবে তার স্ত্রী চম্পাকে হত্যা করে প্রবাসে পাড়ি দেয় বলে জানতে পারি। আমরা এ হত্যাকান্ডের সুষ্ঠু বিচাই চাই।
ঘটনাস্থলে আসা সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল ওয়াহাব বলেন, আমরা জানতে পেড়েছি এখানে মিছিল হচ্ছে। এসে দেখি নিহত নারীর স্বজনরা হত্যার বিচার চেয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছে। আমরা জানতে পেড়েছি হত্যাকারী আসামিকে সোনারগাঁও থানা পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
এবিষয়ে সোনারগাঁও থানার ওসি তদন্ত তরিকুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় সোনারগাঁও থানায় আত্মহত্যার প্ররোচনায় মামলা হয়েছে। নিহতের স্বামী ওমর ফারুক ও বড় ভাই মো. বিল্লাল হোসাইনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।