বন্দরে ১ সন্তানের জননী গৃহবধূ কানিজ ফাতেমা ওরফে বাধন (২২) হত্যাকান্ডের ঘটনায় পুলিশ ঘাতক স্বামী হৃদয় ওফে শিপলু (২৭) ও তার বড় বোন সোনিয়া বেগম(৩৫)কে গ্রেপ্তার করেছে।
সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বন্দর থানার কলাগাছিয়া এলাকা থেকে এদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের শুবকরদী এলাকার জজ মিয়ার ছেলে ঘাতক স্বামী হৃদয় ওরফে শিপলু ও তার বড় বোন সোনিয়া বেগম। এর আগে গত রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) বেলা ১২টা থেকে ২টার মধ্যে যেকোন সময়ে বন্দর উপজেলার শুভকরদী এলাকায় ওই হত্যাকান্ডের ঘটনাটি ঘটে।
এ ব্যাপারে নিহত গৃহবধূর বড় ভাই দোলন আহাম্মেদ বাদী হয়ে লাশ উদ্ধারের ওই দিন রাতে বন্দর থানায় ঘাতক স্বামী হৃদয়সহ ৫ জনের নাম উল্লেখ্য করে বন্দর থানায় এ হত্যা মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং- ৯(৯)২২ ধারা- ৩০২/ ৩৪ পেনাল কোড-১৮৬০।
নিহত গৃহবধূ কানিজ ফাতেমা ওরফে বাধন বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়ন নরর্পদী পূর্বপাড়া এলাকার মৃত বীরমুক্তিযোদ্ধা ফয়েজ আহমেদ মিয়ার মেয়ে। তথ্য সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ বছর পূর্বে বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়ন নরর্পদী পূর্বপাড়া এলাকার মৃত বীরমুক্তিযোদ্ধা ফয়েজ আহমেদ মিয়ার মেয়ে কানিজ ফাতেমা সাথে একই উপজেলার একই ইউনিয়নের শুভকরদী এলাকার জজ মিয়ার ছেলে হৃদয় ওরফে শিপলু সাথে ইসলামি শরিয়ত মোতাবেক বিয়ে হয়।
বিয়ের পর তাদের সংসারে সাহিল (৪) নামে একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর সন্তান জন্মগ্রহনের পর থেকে স্বামী হৃদয় টাকা পয়সা নিয়ে প্রায় সময় তার স্ত্রী কানিজ ফাতেমা সাথে কথা কাটাকাটিসহ অহেতুক পারিবারিক ভাবে অশান্তি সৃষ্টি করে আসছে। এর ধারাবাহিকতায় গত রোববার দুপুরে কিস্তির টাকা পয়সা নিয়ে উল্লেখিত স্বামী ও স্ত্রী মধ্যে আবারও কথা কাটাকাটি হয়।
কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে স্বামী হৃদয় ওরফে শিপলু ও তার পিতা জজ মিয়া এবং তার স্ত্রী সুমিনা দুই মেয়ে সোনিয়া ও রিনা বেগম ক্ষিপ্ত হয়ে গৃহবধূ ও ১ সন্তানের জননী কানিজ ফাতেমা ওরফে বাধনকে শ^াসরোধ করে হত্যার পর লাশ শয়ন কক্ষের খাটে উপর কম্বল দিয়ে পেঁচিয়ে রেখে পালিয়ে যায়। এ ব্যাপারে বন্দর থানায় মামলা দায়ের করলে মদনগঞ্জ ফাঁড়ি এসআই সিহাবসহ সঙ্গীয় র্ফোস বন্দর থানার কলাগাছিয়াসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ঘাতক স্বামী হৃদয় ও তার বড় বোন সোনিয়াকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।
এ ব্যাপারে বন্দর থানার অফিসার ইনর্চাজ দীপক চন্দ্র সাহা গনমাধ্যকে জানায়, হত্যাকান্ডের ২৪ ঘন্টার মধ্যে ঘাতক স্বামী হৃদয় ও তার বড় বোন হত্যা মামলার অপর আসামী সোনিয়াকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি। গ্রেপ্তারকৃতরা থানা হাজতে আটক আছে।