1. sokalnarayanganj@gmail.com : সকাল নারায়ণগঞ্জ : সকাল নারায়ণগঞ্জ
  2. skriaz30@gmail.com : skriaz30 :
  3. : wpcron20dc4723 :
ফতুল্লায় বাবার বকার ভয়ে মেয়ের আত্মহত্যা - সকাল নারায়ণগঞ্জ
মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:১৯ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট
বন্দরে চাঞ্চল্যকর সোহান হত্যা মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-১১ ১৯৩ বোতল ফেন্সিডিল ও ৩ কেজি গাঁজাসহ ১ জনকে আটক করেছে র‍্যাব-১১ আইজিপির সঙ্গে জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেলের সাক্ষাৎ চাষাড়ায় যানজট নিরসনের লক্ষ্যে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা, ৫,৫০০ টাকা জরিমানা জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতাল পরিদর্শন করলেন জেলা প্রশাসক না:গঞ্জ জেলা পুলিশের মাসিক কল্যাণ সভা ও অপরাধ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত না:গঞ্জ জেলা পুলিশের মাস্টার প্যারেড অনুষ্ঠি জমি দখল নিয়ে ছাত্র জনতার মানববন্ধনে নীট কনসার্ন গ্রুপের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ  পুলিশের উপস্থিতিতেও যেন কমছে না চাষাড়া শহীদ মিনারে মারামারি আইজিপি কাপ ক্রিকেট চ্যাম্পিয়নশীপ ২০২৪-২৫ এর শুভ উদ্বোধন”

ফতুল্লায় বাবার বকার ভয়ে মেয়ের আত্মহত্যা

সকাল নারায়ণগঞ্জঃ
  • আপডেট বুধবার, ৩ আগস্ট, ২০২২
  • ১০১ Time View
  • সকাল নারায়নগঞ্জ

 

ফতুল্লার পাগলায় বাবার বকুনির ভয়ে গলায় ফাসঁ দিয়ে আত্নহত্যা করেছে মায়া আক্তার (১২) নামের এক কিশোরী।

 

নিহত কিশোরী মায়া আক্তার ফতুল্লা মডেল থানার পাগলা পূর্ব পাড়া  বৈরাগী বাড়ীর জামাল হাজারীর মেয়ে।

 

মঙ্গলবার (২ আগস্ট) সন্ধ্যায় ফতুল্লার নিহতের কিশোরীর পরিবারের বরাত দিয়ে পাগলা  পূর্ব পারা বৈরাগী বাড়ী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। সংবাদ পেয়ে পুলিশ রাতে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশের সুরহতাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসাপাতালে পাঠায়।

 

এ ঘটনায় বুধবার(৩ আগস্ট) নিহত কিশোরীর বাবা জামাল হাজারী বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেছে।

 

নিহত কিশোরীর বাবা জানায়, তিনি একজন কভার ভ্যান চালক।নিহত মায়া আক্তার স্থানীয় একটি স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেনীর ছাত্রী। মঙ্গলবার বিকেলে নিহত মায়া আক্তার তাকে ফোন করে বলে তার জন্য তারা দুপুরের খাবার না খেয়ে বসে আছে।তাই তাড়াতাড়ি বাসায় ফেরার জন্য তাকে তাগিদ দেয়। সেও দ্রুত বাসায় ফিরে এসে মেয়েদের কে নিয়ে এক সাথে দুপুরের খাবার খায়। খাবার শেষ করে বড় মেয়েকে একটি পান তৈরি করে দেওয়ার জন্য বলে। পান তৈরি করতে গিয়ে বড় মেয়ে দেখতে পায় ছোট বোন নিহত মায়া আক্তার মাটির ব্যাংক থেকে কাঠি দিয়ে টাকা বের করার চেস্টা করছে। এতে করে বড় মেয়ে নিহত মায়া আক্তার কে বলে “তোকে না বাবা নিষেধ করেছে। তুই আবারো তা করছিস।আমি বাবাকে বলে দিবো। ” বড় মেয়ে পান তৈরি করে নিয়ে এলে তিনি বড় মেয়েকে বলে এ বিষয়ে যেনো ছোট মেয়ে মায়া আক্তার কে কিছু না বলা হয়। বেশ কিছুক্ষন পর তিনি বাসা থেকে বের হওয়ার পূর্বে ছোট মেয়ে মায়া আক্তার কে ডাক দেয় আরো একটি পান তৈরি করে দেওয়ার জন্য। মেয়েটি তখন ভয়ে তার সামনে দিয়েই বাথরুমে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয়। দীর্ঘক্ষন বাথরুম থেকে বের না হওয়ায় সে বাথরুমের দরজার নিচ দিয়ে তাকিয়ে দেখতে পায় যে দাড়ানো রয়েছে তার মেয়ে। ডাকাডাকি করলেও কোন সারাশব্দ না পেয়ে পেছনের গিয়ে ভ্যানটিলেটার দিয়ে দেখতে পায় তার মেয়ের হাত-পা কাপছে। তৎক্ষনাৎ পাশের রুম থেকে হাতুড়ি নিয়ে বাথরুমের দরজা ভেঙে মেয়ে কে উদ্ধার করে মাতুয়াইল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা মৃত ঘোষনা করে।

 

নিহতের কিশোরীর পরিবারের বরাত দিয়ে

 

ঘটনাস্থলে যাওয়া ফতুল্লা মডেল থানার উপ- পরিদর্শক শহিদুল ইসলাম জানান,মূলত বাবার ভয়েই কিশোরী আত্নহত্যা করেছে বলে আপাতত মনে হচ্ছে। লাশের সুরহতাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতালের পাঠানো হয়েছে।

 

আরও সংবাদ
© ২০২৩ | সকল স্বত্ব সকাল নারায়ণগঞ্জ কর্তৃক সংরক্ষিত
DEVELOPED BY RIAZUL