সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এসে এক যুবককে পিটিয়ে ভাইরাল হওয়া ডাকাত শাহ আলমকে আটক করেছে সোনারগাঁ থানা পুলিশ।
শুক্রবার (২৯ জুলাই) সকালে শাহ আলমকে আটক করে ডাকাতির মামলায় আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) রাত থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। সে ভিডিওতে দেখা যায়, শাহ আলম নামের এক যুবক মিউজিক ছেড়ে নাচতে নাচতে এক যুবককে একটি পাইপ দিয়ে এলোপাতালি পেটাচ্ছে। পেটানোর সময় যুবকটি হাউমাউ করে চিৎকার করলেও সে একের পর এক আঘাত করতে থাকে। এ ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। ভিডিওটি পুলিশের দৃষ্টিগোচর হলে শাহ আলমকে আটক করে নারায়ণগঞ্জ জেলা আদালতে প্রেরণ করা হয়।
সূত্র জানায়, শাহ আলম নিজেকে পুলিশের সোর্স পরিচয় দিয়ে দীর্ঘদিন যাবত মাদক ও সন্ত্রাসী কাজে লিপ্ত ছিল। সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে মারধর করে অর্থ আদায় করাই তার পেশা। তার অত্যাচারে অতিষ্ট এলাকাবাসী। সে পুলিশের সোর্স পরিচয় দেয়ায় কেউ কিছু বলতে সাহস পায়নি। অবশেষে ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পরপরই পুলিশ তাকে আটক করে। শাহ আলমের বাড়ি মোগরাপাড়া ইউনিয়নের কাবিরগঞ্জ এলাকায়। সে বর্তমানে মোগরাপাড়া চৌরাস্তা বাড়ি মজলিম গ্রামে বোনের বাড়িতে বসবাস করে। শাহ আলম যাকে পিটিয়েছে সেও ডাকাত সাদ্দামের সহযোগী বলে শোনা গেছে। ভিডিওটি মোবাইলে ধারণ করেছে ডাকাত শাহ আলমের সহযোগী ডাকাত সাদ্দাম হোসেন। এক সময় তাদের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল। পরে তাদের মধ্যে বিরোধ দেখা দিলে সাদ্দাম তা ভাইরাল করে দেয়।
সোনারগাঁ থানা পুলিশ জানান, শাহ আলমের ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পরই তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শাহ আলমের সাথে থানা পুলিশের কোনো সম্পর্ক নেই বলেও জানিয়েছে পুলিশ। সে পুলিশের নাম ব্যবহার করে অবৈধভাবে অর্থ আদায়, ডাকাতি ও মাদক ব্যবসা করতো। সে মূলত একজন ডাকাত। অপর ডাকাত সাদ্দামকেও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।