আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলম। সোশ্যাল মিডিয়ায় মিউজিক ভিডিওর মাধ্যমে হইচই ফেলা বগুড়ার এই যুবক এখন পুরো বাংলার মানুষের কাছে পরিচিত। অভিনয়, গান, প্রযোজনা, স্টেজ শো- সব মাধ্যমেই ব্যস্ত সময় পার করছেন তিনি।
হিরো আলমের কাজ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার শেষ নেই। যদিও এসবে তোয়াক্কা করেন না তিনি। দু’দিন পরপরই বেসুরো কণ্ঠে বিভিন্ন গান গেয়ে নিজের ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ করেন। তারই ধারাবাহিকতায় জনপ্রিয় রবীন্দ্রসংগীত ‘আমারো পরানো যাহা চায়’ গানটি গেয়ে তোপের মুখে পড়েন তিনি। এবার তাকে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী খন্দকার হাসান শাহরিয়ার হিরো আলমকে এ নোটিশ দেন। সেখানে হিরো আলমের গানকে ‘গণ-উৎপাত’ আখ্যা দিয়ে ৩০ দিনের মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে সেগুলো অপসারণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
এ ছাড়াও সেই নোটিশে হিরো আলমকে ভবিষ্যতে মিউজিক ভিডিও নির্মাণের নামে বিকৃত ও অশুদ্ধ বাংলা শব্দ উচ্চারণ, অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি ও নগ্ন বা অর্ধনগ্ন নৃত্য পরিবেশন এবং অশালীন পোশাক পরিহিত দৃশ্য ধারণ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার ও প্রকাশ করা থেকে সম্পূর্ণরূপে বিরত থাকার জন্য বলা হয়েছে।
আইনি নোটিশ প্রসঙ্গে জিজ্ঞেস করা হলে হিরো আলম আরটিভি নিউজকে জানান, ‘আমি কোনো নোটিশ পাইনি।’
এর আগে বিকৃতভাবে রবীন্দ্রসংগীত গেয়ে তোপের মুখে পড়ে হিরো আলম জানিয়েছিলেন, ‘একটা কুচক্রী মহল আমার বিরুদ্ধে এসব করার জন্য কানপড়া দিচ্ছে। আমি চাই না বিষয়টা নিয়ে কাদা-ছোড়াছুড়ি হোক। সবাইকে একটা কথাই বলতে চাই, দুই লাইন রবীন্দ্রসংগীত গেয়ে আমি অন্যায় করেছি। আমি আমার ভুল স্বীকার করছি। গানটা গাওয়া আমার ঠিক হয়নি। ভবিষ্যতে আমি আর এ ধরনের গান গাইব না। সবাই আমাকে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।’
প্রসঙ্গত, হিরো আলম অভিনীত ও প্রযোজিত ‘টোকাই’, ‘বউ জামাইয়ের লড়াই’, ‘নষ্ট হওয়ার কষ্ট’ সিনেমা তিনটি মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে।