সকাল নারায়ণগঞ্জ
ট্রাক বুঝাই করে শেষ সময়ে নারায়ণগঞ্জ থেকে বাড়ি যাচ্ছে মানুষ। যাত্রীবাহী বাসে ভাড়া বেশি থাকায় খোলা ট্রাক ও পিকআপই তাদের ভরসা। উত্তরাঞ্চল থেকে যেসব গরুবাহী ট্রাক ঢাকা এসেছিল, সেইসব ট্রাক এখন যাত্রী নিয়ে ফিরছে।
শনিবার (৯ জুলাই ) দুপুরে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে দেখা গেছে, নিম্ন-আয়ের মানুষজন বাসে চারগুণ বাড়তি ভাড়া ও বাস না পেয়ে বিকল্প হিসেবে খোলা ট্রাক, পিকআপ ভ্যানযোগে পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে বাড়ি ফিরছেন।
পোশাককর্মী মুক্তা বেগম বলেন, পরিবার নিয়ে যাচ্ছি বাড়িতে ঈদ করতে। বাস না পেয়ে নারায়ণগঞ্জ চিটাগাং রোড থেকে গরুর ট্রাকে উঠেছি, রাজশাহী যাব। জনপ্রতি ভাড়া দিতে হয়েছে ১ হাজার টাকা। এমনিতে খোলা ট্রাকে দাঁড়িয়ে আছি। তার ওপর প্রচণ্ড রোদে, খুব খারাপ অবস্থা। এরই মধ্যে যানজট আরও কষ্ট বাড়িয়েছে।
ট্রাক-চালক আবদুল আলিম বলেন, গরু নিয়ে গিয়েছিলাম ঢাকায়। ফিরতি পথে যাত্রী নিয়ে নাটোর যাব। রাত ৮টায় নারায়ণগঞ্জ থেকে রওনা দিয়েছি। আজ শনিবার দুপুর ১২টায়ও সেতু পার হতে পারিনি। চরম ভোগান্তি।
এদিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব পার থেকে রাবনা বাইপাস পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজট সৃষ্টি হয়েছে। তবে এরই মধ্যে যানজট কমে আসছে।
বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার ওসি মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম বলেন, বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব পাড় থেকে রাবনা পর্যন্ত ধীরগতিতে যানবাহন চলাচল করছে। মহাসড়কে কাজ করছে পুলিশ।