সকাল নারায়ণগঞ্জ
পাবনার ঈশ্বরদীতে তৎকালীন আওয়ামী লীগের বিরোধীদলীয় নেত্রী (বর্তমান প্রধানমন্ত্রী) শেখ হাসিনার ট্রেনবহরে হামলা ও গুলিবর্ষণ মামলায় ১৭ বছরের সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি জাকারিয়া পিন্টুকে জেলহাজতে প্রেরণ করেছে পাবনা জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।
সোমবার (২৭ জুন) দুপুরে তাকে পাবনা জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেয় আদালত।
র্যাব-২ জানায়, গত ২৫ জুন (শনিবার) কক্সবাজার জেলার টেকনাফ এলাকায় অভিযান চালিয়ে জাকারিয়া পিন্টুকে (৫০) গ্রেপ্তার করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-২। ২৬ জুন (রোববার) পিন্টুকে রাতেই পাবনা ঈশ্বরদী থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে বিশেষ নিরাপত্তাজনিত কারণে তাকে রাতেই জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়।
পিন্টু পাবনা ঈশ্বরদী উপজেলার পিয়ারখালী কাঁচাপরীপাড়া মহল্লার মৃত আব্দুস ছামাদের ছেলে। আটককৃত পিন্টু ঈশ্বরদী পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন।
২০১৯ সালে ৩ জুলাই ঈশ্বরদী বিএনপির ৯ শীর্ষ নেতার মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণা করেন বিজ্ঞ আদালত। রায় ঘোষণার দিন থেকেই পলাতক ছিলেন পিন্টু। জাকারিয়া পিন্টু এই মামলা ছাড়াও ভেড়ামারা থানায় অস্ত্র মামলায় ১৭ বছরের দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি। এ ছাড়াও তার বিরুদ্ধে মোট ২৪টি মামলা রয়েছে এর মধ্যে ৮টি মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামি পিন্টু।
উল্লেখ্য, তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর রূপসা এক্সপ্রেস ট্রেনে খুলনা থেকে সৈয়দপুর যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে পথসভা করার কথা থাকলেও বর্ণিত আসামি বিএনপি নেতা মো. জাকারিয়া পিন্টুসহ তার নেতৃত্বে মামলার অন্যান্য আসামিরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ঈশ্বরদী স্টেশন এলাকায় ট্রেনে গুলি ও বোমা বর্ষণ করেন। এ ঘটনায় ঈশ্বরদী জিআরপি থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে ওইদিনই একটি মামলা করেন। তিন বছর পর ১৯৯৭ সালের ৩ এপ্রিল মোট ৫২ জনের নামে এ মামলার চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ।
মামলার ৫২ জন আসামির মধ্যে ২৮ জন সশরীরে এজলাসে উপস্থিত হয়ে জামিন আবেদন করেন। বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন এবং বাকি আসামিদের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট জারি করেন। আসামিরা ঈশ্বরদী উপজেলার পৌর বিএনপি ও তার অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী বলে জানা গেছে।