সকাল নারায়ণগঞ্জঃ
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে মুকুল হোসেন (৪৫) নামের শীর্ষ সন্ত্রাসী ও ডাকাত সর্দারের কর্মকান্ডে অতিষ্ঠ হয়ে তার হাত-পা ভেঙ্গে রগ কেটে দিয়েছে গ্রামবাসী। তার বিরুদ্ধে চুরি, ডাকাতি, ধর্ষণ, চাঁদাবাজি, মাদক, ছিনতাই, মারামারিসহ ১২টি মামলা রয়েছে বিভিন্ন থানায়।
ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার (২০ জুন) দুপুর ২টার দিকে উপজেলার মাহমুদপুর ইউনিয়নের জোগারদিয়া এলাকায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরণ করে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে থানার ওসি জানিয়েছেন। আহত ডাকাত সর্দার মুকুল ওই এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য কাবিলার ছেলে।
এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, মুকুল দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় চাঁদাবাজী, চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি, মাদকসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ড চালিয়ে আসছে। ডাকাতি করতে গিয়ে সে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ধর্ষণ করতো। বিভিন্ন রূপ ধারণ করে মুকুল পুলিশ ও এলাকাবাসীর চোখ ফাঁকি দিয়ে মাঝে মধ্যে নিজ বাড়ি আসতো।
সোমবার দুপুরে সে সবার অগোচরে বাড়ি থেকে চলে যাওয়ার সময় জোগারদিয়া এলাকায় তাকে চিনে ফেলে। তখন তার নাম জিজ্ঞাসা করতেই সে দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। পরে স্থানীয়রা ধাওয়া করে তাকে আটক করে গণধোলাই দেয়। পরে তার হাত পা ভেঙ্গে হাতে পায়ের রগ কেটে দেয়। মকুলের একের পর এক অপরাধ কর্মকান্ডে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ ছিল। তার ভয়ে এলাকার অনেক লোক আতঙ্কে রাতে বাড়ির বাইরে থাকতো।
আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুল হক হাওলাদার জানান, সোমবার অজ্ঞাত ব্যক্তিরা ডাকাত সর্দর মুকুলকে মারধর করে হাত পাঁ ভেঙ্গে রগ কেটে জোগারদিয়া সড়কের মাঠে ফেলে রেখে যায়। তার বিরদ্ধে ডাকাতি করার সময় ওই পরিবারের নারীদের ধর্ষণের করার অভিযোগ রয়েছে। তার বিরুদ্ধে আড়াইহাজার থানাসহ বিভিন্ন থানায় চুরি, ডাকাতি, ধর্ষণ, চাঁদাবাজি, মাদক, ছিনতাই, মারামারিসহ ১২টি মামলা রয়েছে। ৭টি মামলায় সে ওয়ারেন্টভূক্ত আসামী। সম্প্রতি এলাকায় যেসব ডাকাতি ও ছিনতাইয়ে ঘটনা ঘটছে প্রতিটি ঘটনার সাথে সে জড়িত ছিল। গ্রেপ্তারকৃত ডাকাতদের স্বীকারোক্তিতে তার নাম প্রথম সারিতে থাকায় পুলিশ বিভিন্ন স্থানে তাকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালিয়েছে।