সকাল নারায়ণগঞ্জঃ
স্টাফ রিপোর্টার (আশিক):
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অনুমতিপত্র কিংবা আবেদনের কোন বৈধ কাগজপত্র না থাকায় নারায়ণগঞ্জের সদর উপজেলায় ৪টি হাসপাতাল সিলগালা করে দিয়েছেন জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। একই সঙ্গে একটি ডায়াগনেস্টিক সেন্টার ও একটি ফিজিওথেরাপি সেন্টারকে জরিমানা করা হয়। এছাড়া আরও ১২টি অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনেস্টিক সেন্টারের তালিকা করা হয়েছে।
রবিবার (৩০ মে) রাতে নারায়ণগঞ্জ জেলার সিভিল সার্জন ডা. মশিউর রহমান এসব নিশ্চিত করেছেন।
মশিউর রহমান জানান, ” রবিবার (৩০ মে) বিকেল ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত আমার নেতৃত্বে উপজেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন শিমরাইল (চিটাগাং রোড নামে পরিচিত) ও শহরে মা সুফিয়া ক্লিনিক, পদ্মা জেনারেল হাসপাতাল, মমতা চক্ষু হাসপাতাল ও মেডি ভিশন চক্ষু হাসপাতালকে সিলগালা করা হয়। আর মেডিহোপ হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনেস্টিক সেন্টারকে ৩০ হাজার ও মেরাকেল কেয়ার ফিজিওথেরাপী সেন্টারকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।’
তিনি জানান, ‘স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশ অবৈধ ক্লিনিক বন্ধ করার জন্য। এই নির্দেশে যেসব ক্লিনিক বা ডায়াগনেস্টিক সেন্টারের বৈধ কাগজপত্র যেমন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অনুমতিপত্র, লাইসেন্স ইত্যাদি নেই তাদের সিলগালা করা হয়। আর যাদের অনুমতি আছে কিন্তু ডাক্তার, নার্স নেই, টাকা বেশি নিচ্ছে, মূল্য তালিকা নেই ইত্যাদি, তাদের জরিমানা করা হয়।’
সিভিল সার্জন জানান, ‘আমার অনুমতি নিয়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর সকালে শিমরাইলের মা সুফিয়া হাসপাতালকে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করে। বিকেলে আমরা সেই প্রতিষ্ঠানটিকে সিলগালা করে দেই।’
তিনি আরও জানান, ‘এর আগে গত মঙ্গলবার সোনারগাঁয় উপজেলার মোগড়াপাড়া চৌরাস্তা এলাকায় ৫টি প্রতিষ্ঠানে অভিযান করা হয়। এর মধ্যে বৈধ কাগজপত্র না থাকায় একটি ফার্মেসী সিলগালা করা হয়। লাইসেন্স হালনাগাদ না থাকায় দুটি ক্লিনিককে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। ১৫ দিনের মধ্যে সব কিছু ঠিক করার জন্য বলা হয়। একটি ক্লিনিকের লাইসেন্স ছিল না সেটা সিলগালা করা হয়েছে। আর একটিতে লাইসেন্স থাকায় পরিদর্শন করে সর্তক করা হয়েছে।’
ডা. মশিউর রহমান জানান, ‘বৈধগুলোর তালিকা আছে। কিন্তু অবৈধদের তালিকা নেই। আমরা সেইগুলো খোঁজে বের করছি। এরই মধ্যে আমরা ১২টি অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনেস্টিক সেন্টারের তালিকা করেছি। এগুলো বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা প্রশাসক ও র্যাবের কাছে সেই তালিকা দেওয়া হয়েছে।