সকাল নারায়ণগঞ্জঃ
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের আর মাত্র দেড় বছর বাকী। এই সময় নির্বাচিত কাউন্সিলরদের নিয়ে কি ভাবছেন জনগন এ নিয়ে খোঁজ খবর নেয়া হচ্ছে। গত দুই দিন সিটি করপোরেশনের ৮ নং ওয়ার্ড পরিদর্শন করে বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষের সাথে কথা হয়।
ওয়ার্ডের চৌধুরী বাড়ি, পাঠানতলি, এনায়েতনগর এবং ২নং ঢাকেশরী এলাকা সহ বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করা হয়। এসব এলাকার মানুষের সাথে কথা বলে জানতে চাওয়া হয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর রুহুল আমিন মোল্লা কেমন কাজ করেছেন। আগামী নির্বাচনে তিনি যদি আবার অংশগ্রহন করেন তাহলে জয়ী হতে পারবেন কিনা? এসব প্রশ্নের জবাবে জনগনের কাছ থেকে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়।
উন্নয়ন প্রশ্নে এলাকাবাসী কাউন্সিলর রুহুল আমিন প্রধান ও মেয়র আইভীর প্রশংসা করেন। এ বিষয়ে চৌধুরী বাড়ির স্থায়ী বাসিন্দা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক যুবক বলেন, এলাকার ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। কাউন্সিলর রুহুল আমিনও একজন ভালো মানুষ। তিনি যেভাবে চেয়েছেন সেভাবেই মাননীয় মেয়র আইভী কাজ করেছেন। তাই এলাকার একজন বাসিন্দা হিসাবে আমি খুশী। যে উন্নয়ন হয়েছে আগামী দশ বছর আর হাত দিতে হবে না ইনশাআল্লাহ।
আপনারা এসেছেন নিজেরাই এলাকায় ঘুরে দেখুন। কাউন্সিলর রহুল আমিন যে কাজ করেছেন তাতে তিনিই আবার জয়ী হবেন বলে আমি বিশ্বাস করি। অপরদিকে একই এলাকার রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ী বলেন, কাউন্সিলর রহুল আমিন একজন ভালো মানুষ। তিনি একদিকে যেমন উচিৎ কথা বলতে কাউকে ছাড়েন না, তেমনি জনগনের সুখেদু:খে সব সময়ই পাশে থাকেন।
তার মাঝে কোনো ঝামেলা নেই, যা করেন তা পরিস্কার করেই করেন। তাই আবারও তার জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা তৈরী হয়েছে বলে আমি মনে করি। এদিকে একই ওয়ার্ডের এনায়েতনগর এলাকার বাসিন্দা বলেন, কাউন্সিলর রুহুল আমিন এবার এতো কাজ করেছেন যে যেখানে রাস্তার খুব বেশি দরকার নেই সেখানেও রাস্তা করেছেন। তাই এটা অস্বীকার করার উপায় নেই যে এবার সিটি করপোরেশন সত্যিই ব্যাপক উন্নয়ন করেছে।
তিনি আরো বলেন, নির্বাচনের আরো দেড় বছর বাকী আছে, কিন্তু এরই মাঝে এলাকার রাস্তাঘাটের উন্নয়ন প্রায় শেষ হয়ে এসেছে। তাই আমরা যদি কাউন্সিলর রুহুল আমিন ও মেয়র আইভীর এই অবধান অস্বীকার করি তাহলে নিজের বিবেকের কাছে দায়ী থাকতে হবে। আমরা তাদেরকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
২নং ঢাকেশ্বরী এলাকার বাসিন্দা একই রকম প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করে তিনি বলেন, আমরা আর কি বলবো, আপনারা যেহেতু গাড়ি নিয়ে এসেছেন তাই নিজেই এলাকাটি ঘুর দেখে যান। সত্যিই এলাকার ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। তিনি কাউন্সিলর রহুল আমিনকে একজন কাজ পাগল মানুষ হিসাবেও আখ্যায়িত করেন।