সকাল নারায়ণগঞ্জঃ
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনে একের পর এক মানবতার উদাহরণ দিয়ে যাচ্ছেন একজন সাহসিকতা ও “মানবতার মা”উপাধি পাওয়া কাউন্সিলর।তিনি আর কেউ নন নাসিক ৭,৮,৯ নং ওর্য়াডের সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর আয়শা আক্তার দিনা।
তারই সহযোগিতায় সিদ্ধিরগঞ্জ চৌধুরী বাড়ী আলিফ জেনারেল হাসপাতালে ৪র্থ দফায় জন্ম নিলো আরো একটি ফুটফুটে পুত্র সন্তান।
শুক্রবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাসিক কাউন্সিলর দিনার স্বামী সায়েম প্রধান।সায়েম প্রধান জানান,তার পরিবারের এক মাসের খাবার বাচ্চার দুধ প্রসূতি মায়ের পুষ্টিকর খাবারসহ সকল ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে শনিবার।
এদিকে বৃহস্পতিবার রাতে নাসিক কাউন্সিলর দিনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি স্ট্যাটাস প্রদান করেন।
স্ট্যাটাসটি সকাল নারায়ণগঞ্জের পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলোঃ
আলহামদুলিল্লাহ, মহান আল্লাহ পাকের অশেষ রহমতে আজ ১১.০৬.২০২০ ইং আমার সার্বিক সহোযোগিতায় ৪র্থ দফায় জন্ম নিলো আরো একটি ফুটফুটে পুত্র সন্তান।আজ বিকাল ৫ টায় ৮ নং ওয়ার্ড বাড়িপাড়াতে (গোপণীয়তা রক্ষার্থে ভুক্তভোগীর নাম গোপন রাখা হলো)এক অসহায় প্রসূতি মায়ের প্রসব ব্যাথা শুরু হয়।
মহিলার স্বামী একজন সেলসম্যান, করোনা দুর্যোগের কারনে দোকান মালিক তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখায় মহিলার স্বামী দীর্ঘদিন যাবত বেকার। মহিলার প্রসব ব্যাথা শুরু হলে তার স্বামীর মালিক সাথে সাথে আমাকে ফোন দিলে আমি ও আমার মহিলা টিম সহ গর্ভবতী মহিলাকে নিয়ে ৮ নং ওয়ার্ড চৌধুরী বাড়ী বাস্ট্যান্ড সংলগ্ন এ আর কমপ্লেক্স মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় আলিফ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাই এবং আমি আলিফ জেনারেল হাসপাতালের মালিক এমদাদুল হক জসিম হুজুর ভাইকে বলি এই অসহায় গর্ভবতী নারীকে ডেলিভারী করাতে হবে এবং এর জন্য যা খরচ লাগে আমি দিব আপনি শুধু আমার রোগীর ডেলিভারী আলট্রাসনোগ্রাম যা যা করা প্রয়োজন আপনি করেন।আলিফ জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা ও তাদের আন্তরিকতার কথা আমার জানা কারন গত ৮জুন আমি এক অসহায় গর্ভবতী নারীকে তাদের এখানে ডেলিভারি করাই যা দেখে সত্যিই আমি অভিভুত। তারা রোগীর আল্ট্রাসনোগ্রাম করে বললো রোগীকে সিজার করতে হবে। ।
তখন আল্লাহ পাকের অশেষ রহমতে,আলিফ জেনারেল হাসপাতালের ডাক্তার নার্সদের সহোযোগিতায় সিজারের মাধ্যমে ও আমার সার্বিক সহোযোগিতায় জন্ম নিলো আরো একটি ফুটফুটে পুত্র সন্তান। আমাকে সাথে সাথে আলিফ জেনারেল হাসপাতালের মালিক এমদাদুল হক জসিম হুজুর ভাই বললেন আপা ডেলিভারী সম্পন্ন হয়েছে মা ও সন্তান দুজনই সুস্হ আছে।
আবারো তাকে ও তার নার্সদের কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাই তাদের এই নিবিড় ও মানসম্মত স্বাস্থসেবার জন্য। পূর্বের ন্যায় এবারও আল্লাহ পাকের দরবারে তার ও তার পরিবারের জন্য দোয়া চাই আল্লাহ পাক যেনো তার রহমতের ছায়া এই মানুষটির উপর সবসময় রাখেন।
এছাড়াও বরাবরের মতো এই মা ও শিশু সহ তার পরিবারের এক মাসের খাবার বাচ্চার দুধ প্রসূতি মায়ের পুষ্টিকর খাবার সহ প্রয়োজনীয় ঔষধের দায়্বিত আমি নিলাম আগামী শনিবার তার বাসায় পৌঁছে দেওয়া হবে এইসব সহায়তা সামগ্রী।আবারো ধন্যবাদ ওই মহিলার স্বামীর মালিক,আলিফ জেনারেল হাসপাতালের মালিক,ডাক্তার,নার্স সহ সকল স্টাফদের।এই কাজে আমার টিমের যারা যারা ছিলেন তারা হলেন, আমার ভাই দীপু,কাউসার,শিপন,আজাদ,নাসিমা বেগম,মনি বেগম ও আছিয়া বেগম।
“সবার উদ্দেশ্যে বলতে চাই” বলে মন্তব্য করে দিনা বলেন,আপনারা সবাই এই মহামারীতে আপনার আশেপাশের গর্ভবতী মায়েদের একটু খোঁজখবর রাখবেন এই প্রত্যাশা আপনাদের কাছে আমার।
প্রসঙ্গত,গত ৬ মে,১৪ মে ও ৮ জুন ফোন পেয়ে তিনজন অসহায় নারীকে নিয়ে হাসপাতালে ডেলিভারি করান নাসিক কাউন্সিলর আয়শা আক্তার দিনা।হাসপাতালে ওই ৩ জন নারীর পুত্র সন্তান জন্ম নিয়েছিলো।এই নিয়ে ৪র্থ দফায় আরও এক মায়েকে ডেলিভারি করানো হলো।