সকাল নারায়ণগঞ্জঃ
আপন ভাতিজি শিফার কাছথেকে ক্রমান্ময়ে ১৬ লক্ষ টাকা ফ্লাট দেওয়ার নামে হাতিয়ে নিয়ে প্রতারনা করেছেন চাচা শহিদ। জাতীয় ও স্থানীয় প্রত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ ও জেলা পুলিশ সুপারের নিকট অভিযোগ করেও টনক নড়েনি ফ্লাটব্যবসায়ী শহিদের। থানা পুলিশ ম্যানেজ গুজব ছরিয়ে অপরাধ দমনকারী শহিদের বিরুদ্ধে শিফার স্বামী সাংবাদিক সাকিব অবশেষে থানায় মামলা করলেন।
মামলার পর হতে আসামী শহিদ নিজের অপরাধ আড়াল করতে বাদীর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগের পায়তারায় লিপ্ত। এখনও গ্রেফতার হয়নি প্রতারকচক্রের মুলহোতা শহিদুল ইসলাম শহিদ। এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় শহিদের বিরুদ্ধে প্রতারনার মামলা রজু হয় যার মামলা নং ১৬, তারিখ ৮-৬-২০২০ ইং ধারা ৪২০/৪০৬।
সুত্রে জানা যায় হাজী চাঁন ভেলি টাওয়ার নামক বিল্ডারস এর মালিক অভিযোগকারী শিফার চাচা মৃত কালা চাঁন এর ছেলে শহিদুল ইসলাম শহিদ সাং ২১৭, রোড নং-৩ নিমাইকাশারী, সিদ্ধিরগঞ্জ, ভাতিজি শিফার নিকট হতে দুই দফায় সর্বমোট ১৬ লক্ষ হাতিয়ে নেয় তার নির্মানাধীন ফ্লাটের ৫ম তলায় একটি ফ্লাট বিক্রয়ের কথা বলে। পরবর্তিতে বিল্ডিং এর কাজ সম্পাদন হলেও ভাতিজি শিফার ফ্লাট বুঝিয়ে দিচ্ছেনা চাচা শহিদুল ইসলাম শহিদ।
এ ব্যাপারে দফায় দফায় শিফা স্বাক্ষীদের নিয়ে চাচা শহিদকে চাপ দেওয়া হলেও সে নানান অযুহাত দেখিয়ে তালবাহানা করে আসছে বলে জানা গেছে। সুত্রে আরো জানা যায় শহিদুল ইসলাম উক্ত ফ্লাটটি রেজিষ্ট্রি বাবদ আরও ৪ লক্ষ নেওয়ার পরও অনত্র ফ্লাটটি বিক্রি করার পায়তারা চালাচ্ছে । এদিকে ভাতিজি শিফা ও তার স্বামি সাংবাদিক সাকিবুল হাসান চাচার কাছে কাকুতি মিনতি করেও কোন সুরাহা না পেয়ে অবশেষে নারায়ণগঞ্জ জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার জাহেদুল আলম এর নিকট ১৯ মে ২০২০ইং একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন ন্যায় বিচার চেয়ে।
এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায় শহিদুল ইসলাম সে একজন মাদকসাক্ত ব্যাক্তি গত এক বছর আগে জেলা ডিবি পুলিশ তাকে ফেনসিডিল খাওয়া অবস্থায় হাতে নাতে গ্রেফতার করে, পরে একটি মুচলেকার মাধ্যমে ছেরে দেওয়া হলেও সে এখনও মাদক সেবন করে আসছে। একজন মাদক সেবন কারী আপন ভাতিজির সাথে যে রঙ্গ খেলায় মেতে উঠেছে তাতে সাধারণ মানুষ তার কাছ থেকে ভাল কি আর আশা করতে পারে ? এ ব্যাপারে সাংবাদিক সাকিব স্ত্রীর ন্যার্য অধিকার ফিরিয়ে পেতে স্বরনাপর্ন হয়েছে একদিকে পুলিশ প্রশাসনের কাছে অন্যদিকে গণমাধ্যমের কাছে।
তিনি আরো জানান জাতীয়, স্থানীয় দৈনিক ও বেশ কয়েকটি অনালাইন পোর্টালে সংবাদ প্রকাশ হলেও টনক নড়েনি শহিদের। কার জোরে তিনি নিজের অপরাধ ঢেকে প্রকার্শে রহস্যজনকভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছেন তা আসলেই আমাদের বোধগম্য হয়। আমি কোন উপায়ন্তর না পেয়ে অবশেষে আইনের আশ্রয় নিয়ে তার বিরুদ্ধে প্রতারনার মামলা করেছি সঠিক বিচার পেতে।
থানায় মামলা হওয়ার পর হতে সে আমার বিরুদ্ধে নানান অপবাদ দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে যা সত্যি হাস্যকর। তার সকল অপরাধের বিষয় বস্তু এখন জাতির সামনে তুলে ধরাতে প্রতিয়মান হয় যে, সে একজন অপরাধি আর অপরাধ যে করবে তার সাস্তি এক দিন না এক দিন পেতেই হবে। মামলার আয়ু গৌতম সাহার সাথে আসামীর বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান ওসি সাহেবের নির্দেশ এখনও আসেনি তার গ্রেফতার করার বিষয়ে তিনিই বলতে পারবেন।