1. [email protected] : সকাল নারায়ণগঞ্জ : সকাল নারায়ণগঞ্জ
  2. [email protected] : skriaz30 :
  3. : wpcron20dc4723 :
নগরমাতা আইভীকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা দিলেন কাউন্সিলর দিনা - সকাল নারায়ণগঞ্জ
বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:২৯ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট
সাহিত্য-সংস্কৃতি কখনো ধর্মান্ধ হয় না মমিনউল্লা ডেভিডের ২০তম মৃত্যুবার্ষিক উপলক্ষে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল এর আয়োজন নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে মো: শাকিল (২৬) নামে এক যুবকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নারায়ণগঞ্জে ২৭ যানবাহন জব্দ, ২৯ মামলায় লাখ টাকা জরিমানা ১০ দিন যাবৎ নিখোঁজ ঝর্ণা বিশ্বাস সন্ধান চায় পরিবার  বশিষে উদ্দশ্যেে র্গামন্টেস শ্রমকি ফ্রন্টরে নতেৃবৃন্দরে নামেবভ্রিান্তকির সংবাদ প্রকাশরে প্রতবিাদ সংখ্যানুপাতিক হার (পিআর) পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ফ্যাসিস্ট ও সন্ত্রাসীদের পুনর্বাসন দেশের জনগণ মেনে নিবে না পুলিশ ‍সুপারের সাথে ইসলামী আন্দোলনের মতবিনিময় নারায়ণগঞ্জের সিভিল সার্জন মুশিউর রহমানকে ভৎসনা করেছেন আদালত

নগরমাতা আইভীকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা দিলেন কাউন্সিলর দিনা

সকাল নারায়ণগঞ্জঃ
  • আপডেট শনিবার, ৬ জুন, ২০২০
  • ১৯৭ Time View

সকাল নারায়ণগঞ্জঃ

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াত আইভীর ৫৫ তম জন্মদিন আজ।তারই জন্মদিনে প্রানঢালা শুভেচ্ছা জানিয়েছেন নাসিক ৭,৮,৯ নং ওর্য়াডের কাউন্সিলর আয়শা আক্তার দিনা।

শনিবার (৬ মে) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে নাসিক এই কাউন্সিলর মেয়র সেলিনা হায়াত আইভীকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান। বিবৃতিতে কাউন্সিলর দিনা বলেন,বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একজন রাজনীতিবিদ এবং নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের একজন দায়িত্ববান মেয়র।

২০১১ সাল থেকে তিনি নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।তিনি ২০০৮ সাল থেকে মেয়র হিসাবে নির্বাচিত হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত বিলুপ্ত নারায়ণগঞ্জ পৌরসভার মেয়র ছিলেন।তিনি বাংলাদেশ সিটি কর্পোরেশনের প্রথম নারী মেয়র।

এমন একটি দিনে তাকে শুভেচ্ছা না জানিয়ে পারি না।তার জন্মদিনে আমার প্রানঢালা শুভেচ্ছা।আল্লাহ যেনো তাকে নেক হায়াত দান করুক এবং তিনি যেনো মানুষের সুখে দুঃখে থাকতে পারে পরিবার নিয়ে এ আশা কামনা করি। প্রসঙ্গত,নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াত আইভী ১৯৬৬ সালের ৬ জুন নারায়ণগঞ্জের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন।

পিতা সাবেক পৌর চেয়ারম্যান আলী আহাম্মদ চুনকা, মা মমতাজ বেগম। চুনকা পরিবারের পাঁচ সন্তানের মধ্যে ডা. আইভী হলেন প্রথম সন্তান। দেওভোগ আখড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় হতে শিক্ষা জীবন শুরু করেন। পরবর্তীতে তিনি নারায়ণগঞ্জ প্রিপারেটরী স্কুলে ভর্তি হন এবং ষষ্ঠ শ্রেণী পর্যন্ত লেখাপড়া করেন। অতঃপর তিনি মর্গ্যান বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি হন।

১৯৭৯ সালে ট্যালেন্টপুলে জুনিয়র স্কলারশিপ পান এবং ১৯৮২ সালে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষায় স্টারমার্কসহ উত্তীর্ণ হন। এরপর তিনি ১৯৮৫ সালে রাশিয়ান সরকারের স্কলারশিপ নিয়ে চিকিৎসা বিজ্ঞানে শিক্ষাগ্রহণের জন্য ওডেসা পিরাগোব মেডিক্যাল ইনস্টিটিউটে ভর্তি হন এবং ১৯৯২ সালে কৃতিত্বের সঙ্গে ডক্টর অব মেডিসিন ডিগ্রি লাভ করেন। পরবর্তীতে ১৯৯২-৯৩ সালে ঢাকা মিডফোর্ট হাসপাতালে ইন্টার্নি সম্পন্ন করেন। ডা. আইভী তাঁর সুদীর্ঘ শিক্ষা জীবনের পর ১৯৯৩-৯৪ সালে মিডফোর্ট হাসপাতালে এবং ১৯৯৪-৯৫ সালে নারায়ণগঞ্জ ২০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে অনারারি চিকিৎসক হিসেবে কাজ করেন।

ডা. আইভী ১৯৯৫ সালের ১৫ নভেম্বর রাজবাড়ী নিবাসী কাজী আহসান হায়াৎ-এর সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। স্বামী কাজী আহসান হায়াৎ বর্তমানে কম্পিউটার প্রোগ্রামার হিসেবে নিউজিল্যান্ডে কমর্রত আছেন। পারিবারিক জীবনে তিনি দুই পুত্র সন্তানের জননী। কাজী সাদমান হায়াত সীমান্ত (জন্ম ৫ মে ১৯৯৮) ও কাজী সারদিল হায়াত অনন্ত (জন্ম ২০ জুন ২০০২)।

তিনি ১৯৯৫ সাল হতে নিউজিল্যান্ডে বসবাস শুরু করেন। সেখানে তিনি নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ডে মেডিক্যাল ল্যাবরেটরি সায়েন্সে অধ্যয়ন শুরু করেন। তিনি অধ্যয়নরত অবস্থায় ২০০২ সালের ডিসেম্বরে দেশে ফিরে আসেন।

তাঁর এই দীর্ঘ প্রবাস জীবনে তিনি দেশের মানুষ ও সর্বোপরি নিজের সেই পরিচিত শহর ও শহরবাসীর জন্য এক প্রগাঢ় হৃদয়ের আকর্ষণ অনুভব করেন। তিনি অধ্যয়নকালীন সময়ে ও প্রবাস জীবনের ফাঁকে ফাঁকে ছুটে এসেছেন জন্মভূমিতে। এছাড়া তিনি গরীব ও দুঃখী লোকদের বিনামূল্যে চিকিৎসা এবং আর্থিকভাবে সাহায্য করেন। তাঁর এই কর্মকান্ডে পৌরপিতা আলী আহাম্মদ চুনকার দানশীলতা, মানবপ্রেম ও একই সাথে মানব সেবার প্রতিফলন ঘটে।

ডা. আইভী তাঁর শিক্ষাগত ও পেশাগত জীবনে বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্রে পরিভ্রমণ করেছেন, যেমন- জার্মান, হল্যান্ড, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, ইতালি, শ্রীলংকা, চীন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, ব্রাজিল ও ভারত। আইভীর বাবা আলী আহাম্মদ চুনকা শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন, স্বাধীনতার পর দুই-দুবার (১৯৭৪ সালের ৪ মার্চ হতে ১৯৭৭ সালের ৯ মার্চ এবং ১৯৭৭ সালের ১০ সেপ্টেম্বর হতে ১৯৮৪ সালের ২২ সেপ্টেম্বর) নারায়ণগঞ্জ পৌরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। ১৯৮৪ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারী মারা যান নারায়ণগঞ্জ পৌর পিতার উপাধি আলী আহাম্মদ চুনকা। ১৯৮৬ সালে আইভী বৃত্তি নিয়ে পড়তে যান তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের ওদেসা নগরের পিরাগভ মেডিকেল ইনস্টিটিউটে। আলী আহাম্মদ চুনকার পাঁচ সন্তানের মধ্যে সবার বড় হলেন ডা. সেলিনা হায়াত আইভী।

আইভী স্কুল ও কলেজ জীবন হতে বাবার সঙ্গে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ করতেন। ১৯৯৩ সালে তিনি নারায়ণগঞ্জ শহর আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদিকা ছিলেন। ২০০৩ সালের ১৬ জানুয়ারী অনুষ্ঠিত নারায়ণগঞ্জ পৌরসভার নির্বাচনের মাত্র ১৭দিন আগে নিউজিল্যান্ড থেকে তাকে উড়িয়ে দেশে আনা হয়। আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দিয়ে তার পক্ষে নারায়ণগঞ্জে জোর প্রচারণা চালান দলের কেন্দ্রীয় অনেক নেতা।

২০০৩ সালে অনুষ্ঠিত পৌর চেয়ারম্যান নির্বাচনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে তাঁর সক্রিয় রাজনৈতিক জীবনের সূত্রপাত ঘটে। ২০১১ সালের ৩০ অক্টোবর অনুষ্ঠিত সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আইভী বিপুল ভোটে জয়ী হন। ওই নির্বাচনে দলের সমর্থন না পেলেও একচুল পিছু হটেনি আইভী। সর্বশেষ গত বছরের (২০১৬) ২২ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হওয় সিটি করপোরেশন নির্বাচনেও বিপুল ভোটে মেয়র নির্বাচিত হন আইভী।

আরও সংবাদ
© ২০২৩ | সকল স্বত্ব সকাল নারায়ণগঞ্জ কর্তৃক সংরক্ষিত
DEVELOPED BY RIAZUL