সকাল নারায়ণগঞ্জঃ
আমরা সেই আগের জায়গায় নেই। আজ থেকে ২৫/৩০/৫০ বছর আগের জায়গায় নেই আমরা। এই মূহুর্তে সারা বাংলাদেশে আর্মির মেজর থেকে শুরু করে এমন কোনো পদ নেই যে জায়গায় নারীদের অবস্থান নেই এবং কোনো জায়গায় কিন্তু অন্যের দয়ায় বা অনুপ্রেরণায় নয় তাদের নিজ যোগ্যতায় তারা তৈরি হয়েছে। এখনো আমার মা-বোনেরা নির্যাতিত হচ্ছে, অবহেলিত হচ্ছে তাদেরকে জাগিয়ে তুলতে হবে। জাগিয়ে তোলা মানে কিন্তু আবার লাঠি নিয়ে বের হওয়া ন য়, তাদের ভিতর অনুভূতি তৈরি করে দেয়া, তাদেরকে উৎসাহ দেয়া যে তুমি একা না তোমার সাথে সবাই আছে। কোনো জাতি বা ব্যক্তি মনে করে নারী জাতিদের ছাড়া এগিয়ে যাবে অব্যশই তা সম্ভব না। আল-কোরআন থেকে শুরু করে সব ধর্মগ্রন্থে নারীদের প্রতি ভালোবাসা এবং শ্রদ্ধার কথা বলা হয়েছে।
রবিবার(০৮মার্চ) সকালে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে জেলা প্রশাসন ও উপপরিচালকের কার্যালয়, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর কর্তৃক আয়োজিত র্যালী শেষে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোঃ জসীম উদ্দিন একথা বলেন।
তিনি বলেন, আজকের দিনটাকে মিস করলে আমার নিজেরই খারাপ লাগতো। কারণ আমাকে দশ মাস দশ দিন গর্ভে ধারণ করে আমার মা এই পৃথিবীর আলো দেখিয়েছে। আমার বোন আমাকে লেখাপড়া করিয়ে এই পর্যন্ত আসতে সহযোগীতা করেছে। আবার এখন আপনাদের সাথে যত পরিশ্রম করি তাও আমার স্ত্রীর জন্য কারণ সে যদি আমাকে এই সাহসটা না দিতো তাহলে হতো না। আমার মেয়েটা যখন কোলে আসে অথবা স্কুলে যায় বা যখন দৌড়ে এসে হাসিমুখে আমার দিকে তাকায় তখন সেটা আমাকে অনুপ্রেরণা দেয়। তাহলে আমার সব জায়গায় নারীরা থাকে তাহলে আবার সেই নারীকে কেন রাস্তায় মিছিল করতে হবে? তবে আপনাদের কাছে আশার খবর বলি, জাতির পিতার জন্ম শতবার্ষিকীতে অনেক আয়োজন আছে যার সবগুলো আমাদের এই নারী জাতিকে সম্মান করে।
এসময় মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর’র উপপরিচালক কামিজা ইয়াসমিন’র সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন, জেলা পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম, সিভিল সার্জন ডা. ইমতিয়াজ আহমেদ, জিপি মেরিনা বেগম, জেলা মহিললীগ সভানেত্রী অধ্যক্ষ শিরিন বেগম, জেলা পরিষদ’র সদস্য এড. নূর জাহান প্রমুখ।