সকাল নারায়ণগঞ্জঃ
ছোট বাচ্চাদের সান্নিধ্যে সময় কাটালে নিজের রঙিন শৈশবকালের কথা মনে পড়ে যায়। কেননা ওদের মত আমিও একদিন এমন বাচ্চা ছিলাম। একদিন ওরাও আমাদের মত বড় হবে, সেদিন হয়তো আমরা থাকবো না। এই কোমল মতি শিক্ষার্থীদের স্বপ্ন গুলো বেঁচে থাকুক ।
বুধবার(০৪ মার্চ) সকালে নারায়ণগঞ্জ প্রিপারেটরি স্কুলে ‘বসন্ত বরণ উৎসব ও পিঠা মেলা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দিন একথা বলেন।
তিনি বলেন, প্রিপারেটরি স্কুলে ১ হাজার ১ টা গোলাপ আছে। এই গোলাপ গুলো হলো বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তাদরে পরিচর্যার জন্য আছেন শিক্ষকগণ। স্কুলটা এমন ভাবে সাজাতে হবে যেন ছেলে মেয়েরা স্কুল থেকে বাসায় যেতে না চায়। সকালে বাচ্চারা উঠে আগে মাকে বলবে-মা আমি স্কুলে যাব! বিদ্যালয়ের পড়া থেকে শুরু করে সকল পরিবেশ সুন্দর ভাবে তৈরী করতে হবে।
জেলা প্রশাসক বলেন, এই বিদ্যালয়ে এসে আমার একটা জিনিস খুব খারাপ লেগেছে। তা হলো এখানকার পরিচ্ছন্নতা পাইনি। কেবিনেট নির্বাচন শেষ হয়েছে কয়েক দিন আগে, কিন্তু ক্লাস গুলো এখনও অপরিষ্কার আছে। আমি প্রধান শিক্ষকের হাতে চক, ডাস্টার এর সাথে সাথে ঝাড়ু দেখলে খুশি হবো। কারণ আমাদের স্কুলটা শুধু পড়ালেখা শেখায় না, পরিষ্কার থাকাটাও শেখায়।
এর আগে বিভিন্ন পিঠা স্টল পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক মো. জসিম উদ্দিন। এসময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) রেহেনা আক্তার, জেলা মহিলা ক্রীড়া সংস্থার সভানেত্রী ফারহানা হক সুমি, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সানজিদা আক্তার,প্রধান শিক্ষক আবদুল বারীসহ স্কুলটির অন্যান্য শিক্ষবৃন্দ।