সকাল নারায়ণগঞ্জ :
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে গৃহবধূ ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত আসামী লিটন ওরফে লিটাকে আড়াইহাজার থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১।
মামলার বিবরণ সূত্রে জানা যায় যে, হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট থানার কামাল মিস্ত্রীর ছেলে টুটুল হোসেন তার স্ত্রীকে নিয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানার কদমতলী এলাকায় ভাড়াটিয়া হিসাবে বসবাস করে আসছিল। একই এলাকায় তার খালাতো ভাই বিবাদী লিটন ওরফে লিটা (৩০) বসবাস করিত। আত্মীয়তার সম্পর্কের জেরে তার বাড়ীতে বিবাদী লিটন ওরফে লিটা নিয়মিত আসা-যাওয়া করিতো। আসা-যাওয়ার একপর্যায়ে বিবাদী লিটন ওরফে লিটা তার খালাতে ভাইয়ের স্ত্রীর উপর কুদৃষ্টি দেয়। বিবাদী তার খালাতে ভাইয়ের স্ত্রীকে প্রায় সময়ই বিভিন্ন অশালীন কথাবার্তার মাধ্যমে উত্যক্ত করার চেষ্টা করিত এবং কু-প্রস্তাব দিত। ভিকটিম বিবাদীর কু-প্রস্তাবে রাজি না হলে তাকে বিভিন্ন ভয়ভীতি প্রদান করিত।
এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৪ মে ভিকটিমের স্বামী ভোরে নাস্তা আনার জন্য বাড়ীর বাহিরে গেলে বিবাদী লিটন ওরফে লিটা অসৎ উদ্দেশ্যে ভিকটিমের বসত ঘরের পশ্চিম দিকের কর্ণারে টিনের চাল উচাইয়া ভোর অনুমান ৫টা ২০ মিনিটের সময় কৌশলে ঘরের ভিতরে প্রবেশ করে। ভিকটিম বিষয়টি টের পেয়ে ডাক চিৎকার করার চেষ্টা করলে, বিবাদী ভিকটিমের মুখ চেপে ধরে ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদান করে বসত ঘরের শয়ন কক্ষের ভিতরে নিয়ে ভিকটিমের ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এরই প্রেক্ষিতে ভিকটিম নিজে বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় এই সংক্রান্তে একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করেন।
মামলাটি রজু হওয়ার পর উক্ত মামলার এজাহার নামীয় একমাত্র আসামি লিটন ওরফে লিটাকে গ্রেফতারের জন্যে র্যাব-১১, সদর কোম্পানী, আদমজীনগর, নারায়ণগঞ্জ এর একটি চৌকস আভিযানিক দল গোয়েন্দা নজরদারি ও তথ্য সংগ্রহ করতে থাকে। পরবর্তীতে র্যাব-১১, সদর কোম্পানী, আদমজীনগর, নারায়ণগঞ্জ এর একটি আভিযানিক দল নিজস্ব গোয়েন্দা নজরদারি ও তথ্যের ভিত্তিতে শনিবার (১৭ মে) সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটের সময় নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানাধীন পায়রা চত্তর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ধর্ষণ মামলার একমাত্র আসামি লিটন ওরফে লিটাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী লিটন(৩০) নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন কদমতলী কলেজপাড়া, (স্বর্ণকার জাহাঙ্গীর মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া) এলাকার মৃত দেলোয়ার হোসেনের ছেলে।